আফজাল হোসেন তার পোস্টে আরো লিখেছেন, আমরা দৈনন্দিন জীবনে অনেক সময় অপ্রয়োজনীয় চিন্তায় ব্যস্ত থাকি। জীবনের অর্থ, প্রেরণা ও সঠিক দিশা খুঁজে পেতে কম সময় ব্যয় করি। তিনি নাট্যাচার্য সেলিম আল দীনের সংলাপ টেনে উল্লেখ করেন, বেঁচে থাকাটা বড় কথা নয়, কিভাবে বেঁচে আছি সেটাই বড়। তিনি আরো লিখেছেন, সৃজনশীল মানুষদের অবদানের যথাযথ মূল্যায়ন হয় না, তবু তারা নিবিষ্টভাবে কাজ চালিয়ে যান।চিত্রকর ছবি আঁকতে, লেখক সাহিত্য রচনায়, কণ্ঠশিল্পী গানে নিজের আনন্দ খুঁজে পান। এই নিবেদন সমাজকে বাঁচিয়ে রাখার একটি নীরব শক্তি।রুনা লায়লার বিষয়ে আফজাল হোসেন লিখেছেন, রুনা লায়লা অসাধারণ শিল্পী। তার পরিচয় এমন যে পুরো দেশই আলোকিত হতে পারে। পাকিস্তান ও ভারতের শ্রোতাদের কাছে তিনি সমানভাবে জনপ্রিয় ও সম্মানিত।রুনা লায়লা বলেন, এই গান সবসময় আমার হৃদয়ের খুব কাছের। নতুনভাবে, তরুণ শিল্পীদের সঙ্গে আবার গানটি গাইতে পেরে আমি আনন্দিত। প্রজন্ম-পরম্পরায় গানটির নতুনভাবে ফিরে আসা আমাকে খুব খুশি করেছে।আফজাল হোসেন সমাজের অসংলগ্নতা ও বিভেদ নিয়েও লিখেছেন। তিনি বলেছেন, আমরা দেশ ভালোবাসি বলে দাবি করি, কিন্তু প্রায়ই ক্ষতিকর বা বিভাজক ভাবনায় জড়াই। তিনি বলেন, এই অসচেতনতার মধ্যেও ‘মাস্ত কালান্দার’ তাকে নতুন আলো, আনন্দ ও প্রাণের উষ্ণতা দিয়েছে। তিনি সমাপ্তি টানেন, নতুন করে প্রাণ পেয়েছে রুনা লায়লা ও ‘মাস্ত কালান্দার’। বেঁচে থাকা সত্যিই সুন্দর।