মানবপাচারকারীদের ফাঁদে পড়ে লিবিয়ায় আটকে থাকা অনিয়মিত ১৫০ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ দূতাবাস (ত্রিপলি), লিবিয়া এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (IOM) এর সহযোগিতায় বুধবার (২৮ মে) ভোরে বোরাক এয়ার ইউজেড ০২২২-এর চার্টার্ড ফ্লাইটযোগে তারা দেশে ফিরেছেন।
দেশে ফেরা প্রবাসীদের বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (IOM) কর্মকর্তারা। জানা গেছে, ভুক্তভোগী প্রবাসীদের বেশিরভাগই সমুদ্র পথে অবৈধভাবে ইউরোপ যাওয়ার উদ্দেশ্যে মানবপাচারকারীদের প্ররোচনায় ও সহযোগিতায় লিবিয়ায় অনুপ্রবেশ করে।তাদের অধিকাংশই লিবিয়ায় বিভিন্ন সময়ে অপহরণ ও নির্যাতনের শিকার হোন। দেশে ফেরার পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা ভুক্তভোগীদের অবৈধ উপায়ে বিদেশ না যাওয়ার আহ্বান জানান।IOM-এর পক্ষ থেকে লিবিয়া থেকে প্রত্যাবাসনকৃত প্রত্যেককে ছয় হাজার টাকা, খাদ্যসমগ্রী উপহার, চিকিৎসা সেবা এবং প্রয়োজনে অস্থায়ী বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হয়।লিবিয়ার বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টারে আটক বাংলাদেশি নাগরিকদের নিরাপদে প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা করতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ দূতাবাস, ত্রিপলি এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (IOM) একসঙ্গে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।ত্রিপোলির বাংলাদেশ দূতাবাস এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ২৭ মে বেনগাজীর গানফুদা ডিটেনশন সেন্টার থেকে ১৫০ জন বাংলাদেশিকে আইওএম-এর সহায়তায় দেশে পাঠানো হয়েছে। প্রত্যাবাসিত অভিবাসীরা ২৮মে সকাল সাড়ে ৬টার দিকে লিবিয়ার বুরাক এয়ারলাইন্সের (ফ্লাইট নম্বর UZ222) একটি ফ্লাইটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।দূতাবাস জানায়, আগামী জুন মাসে লিবিয়া থেকে আরও তিনটি প্রত্যাবাসন ফ্লাইট পরিচালনার জন্য দূতাবাস কাজ করে যাচ্ছে। এই ফ্লাইটগুলোর মাধ্যমে ত্রিপলি ও মিসরাতা থেকে আউটপাস ও নতুন পাসপোর্টধারী নিবন্ধিত আড়াই শতাধিক অভিবাসী এবং তাজুরা ডিটেনশন সেন্টারে আটক অভিবাসীসহ আনুমানিক পাঁচশত বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত পাঠানো সম্ভব হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।