কিডনি শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এটি শরীরের ভিতর থেকে টক্সিন বা দূষিত পদার্থ বের করে শরীরকে বিশুদ্ধ রাখতে সাহায্য করে। কিন্তু কিডনি ঠিকমতো কাজ না করলে এই টক্সিন জমে গিয়ে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। যার প্রভাব পড়ে শরীরের একাধিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে।তাই কিডনির অসুস্থতা শুরুতেই চিহ্নিত করা জরুরি। চলুন, জেনে নিই এমন কিছু লক্ষণ বা উপসর্গ সম্পর্কে, যেগুলো দেখা দিলে সতর্ক হওয়া উচিত।
সারাক্ষণ ক্লান্তি ও ঝিমুনি
কিডনির কার্যক্ষমতা কমে গেলে শরীরে প্রয়োজনীয় পরিমাণে অক্সিজেন পরিবাহিত হয় না। ফলে একধরনের অবসন্নতা তৈরি হয়।খুব সামান্য কাজেই ক্লান্ত লাগা, মাথা ঝিমঝিম করা, সারাক্ষণ ঘুম ঘুম ভাব— সবই হতে পারে কিডনির সমস্যার প্রাথমিক লক্ষণ।
হাত-পা ও মুখে ফোলাভাব
কিডনি ঠিকমতো কাজ না করলে শরীরে তরল জমতে শুরু করে। এর ফলে হাত, পা, গোড়ালি, চোখের নিচে কিংবা মুখ ফুলে যেতে পারে। অনেকের আবার হালকা ব্যথাও অনুভব হয়।
ফুসফুসে ফ্লুইড জমে গেলে শ্বাস-প্রশ্বাসে কষ্ট হয়। কিডনির সমস্যা থাকলে হঠাৎ নিঃশ্বাস নিতে সমস্যা বা বুক ধড়ফড় করার মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
উচ্চ রক্তচাপ ও কোমরের ব্যথা
কিডনি সঠিকভাবে ফিল্টার না করতে পারলে রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে। এছাড়া কোমরের নিচে একপাশে ব্যথা অনুভব করা কিডনির সমস্যার আরেকটি লক্ষণ—বিশেষ করে যদি তা দীর্ঘস্থায়ী হয়।
হজমের সমস্যা ও বমিভাব
কিডনি খারাপ হলে শরীরে জমে থাকা টক্সিন হজমের ক্ষমতায় প্রভাব ফেলে।এতে অ্যাসিডিটি, গ্যাস, খাবার খাওয়ার পর অতিরিক্ত ভরাভাব, বমি বমি ভাব ও ঢেকুর হতে পারে।
ত্বক রুক্ষ হয়ে যাওয়া ও চুলকানি
কিডনি ঠিকমতো কাজ না করলে রক্তে বর্জ্য পদার্থ জমে ত্বকে প্রতিক্রিয়া তৈরি করে। ত্বক হয়ে যায় শুষ্ক ও রুক্ষ। সেই সঙ্গে গা চুলকাতে শুরু করে, যা বাইরে থেকে চুলকে স্বস্তি পাওয়া যায় না।এই লক্ষণগুলোর মধ্যে একাধিক যদি আপনার মধ্যে দেখা দেয়, তাহলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। কারণ কিডনির সমস্যা যত তাড়াতাড়ি ধরা পড়ে, তত দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়।
এ ক্যাটাগরির আরো নিউজ..