দেশে জাতীয় নির্বাচনের হাওয়া বইতে শুরু করেছে। রাজনৈতিক দলগুলো মাঠে নামছে, প্রস্তুতি নিচ্ছে নেতাকর্মীরা। এরই মধ্যে নির্বাচন কমিশন (ইসি) নির্বাচনকালীন আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে বড় পরিবর্তনের উদ্যোগ নিয়েছে।
ইসি সূত্র জানিয়েছে, এবারের নির্বাচনে সেনাবাহিনীকে শুধু স্ট্রাইকিং ফোর্স নয়, অন্যান্য বাহিনীর মতো পূর্ণ ক্ষমতা দিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার প্রস্তাব করা হয়েছে। এজন্য গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ (আরপিও) সংশোধন করে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে পাঠানো হচ্ছে। প্রস্তাব অনুমোদিত হলে সেনারা আর ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতির ওপর নির্ভর না করে স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারবে।
২০০১ সালে প্রথমবার সেনাবাহিনীকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হলেও ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার এ বিধান বাতিল করে। এবার আবারও আরপিও সংশোধন করে জাতীয় থেকে স্থানীয় সব ধরনের নির্বাচনে সেনাবাহিনীকে অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে ইসি।
আগামী নির্বাচনে দেড় লাখ পুলিশ সদস্য, বিজিবি, কোস্টগার্ড, আনসার বাহিনীর পাশাপাশি প্রায় ৮০ হাজার সেনা সদস্য মোতায়েনের পরিকল্পনা রয়েছে। নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, সেনাদের পূর্ণ ক্ষমতা দিলে ভোটারদের আস্থা বাড়বে এবং নির্বাচনী সহিংসতা কমবে।
তবে বিশেষজ্ঞদের মত, সুষ্ঠু নির্বাচন কেবল বাহিনীর উপস্থিতির ওপর নয়, সরকারের সদিচ্ছা, প্রশাসনের নিরপেক্ষতা ও ইসির কার্যকর ভূমিকার ওপরও নির্ভর করে।
ইসির দাবি, সেনাবাহিনীকে পূর্ণাঙ্গ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করলে নির্বাচনী সহিংসতা কমবে এবং ভোটাররা আরও নিশ্চিন্তে ভোটকেন্দ্রে যেতে পারবেন।