পরে গণমাধ্যমের সংবাদে বিষয়টি ভাইরাল হলে আমাদের নজরে আসে। উপজেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে আমিসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একটি টিম তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করি।আমরা সেখানে উপস্থিত হয়ে সমু চৌধুরীর সাথে আমরা দীর্ঘ এক ঘণ্টা কথা বলি। এ সময় তাকে বেশ সুস্থ সাবলীল মনে হয়েছে। তিনি অতীতের মনে করতে পারছেন।তাকে দেখে মোটেও পাগল বা মানসিক ভারসাম্যহীন মনে হয়নি। আমাদের সামনে তিনি তার পরিবারের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেছেন। স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আরো বলেন, অভিনেতা সমু চৌধুরী একজন মাজার ভক্ত মানুষ। তিনি নিজেই আমাদেরকে নিশ্চিত করেছেন এর আগেও অনেকবার তিনি এই মাজারে এসেছেন। এই এলাকার রাস্তাঘাটও তিনি ভালো করে চেনেন। তার বাড়ি যশোর জেলায়। তিনি পরিবারসহ ঢাকায় থাকেন। গতকাল সোহরাওয়ার্দী এলাকা থেকে তিনি এই মাজারের উদ্দেশে রওনা দেন। কাজের ফাঁকে ফাঁকে তিনি দেশের বিভিন্ন স্থানের মাজার ভ্রমণ করেন।মাজারে থেকে এই অভিনেতা প্রশান্তি পান। মূলত ধ্যান করার জন্যই তিনি এই মাজারে মাঝে মাঝে আসেন। তার পরিবারের লোকদের সাথে কথা হয়েছে। তারা ঢাকা থেকে রওনা দিয়েছেন। এখন তিনি মাজারেই অবস্থান করছেন। পরিবার ঢাকা থেকে এলে তাদের সাথে তিনি চলে যাবেন বলে জানিয়েছেন। ডাক্তার এবং স্থানীয় প্রশাসনের সামনে তিনি তার জীবনের অনেক স্মৃতিচারণ করেছেন বলে জানান ডা. মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন। তাদের সামনে কবিতা আবৃত্তিসহ তার বিভিন্ন অভিনয়শিল্পও দেখিয়েছেন এ অভিনেতা। তিনি তার পরিবারের সকলের সাথে আমাদের সামনে ফোনে কথা বলেছেন। যেহেতু পরিবারের সবাইকে তিনি চিনতে পারছেন সেহেতু তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন নন।পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফেরদৌস আলম জানান, অভিনেতা সমু চৌধুরী একজন সুস্থ-সবল মানুষ। মাজারে মাজারে ঘুরে বেড়ানোই তার নেশা। বুধবার রাতে এই মাজারে এসে তিনি ধ্যানে লিপ্ত ছিলেন। যেহেতু এক কাপড়ে তিনি ঢাকা থেকে এখানে এসেছেন সকালবেলা গোসল করার পর তার কোনো কাপড় ছিল না। ফলে গামছা পড়ে তিনি একটি গাছের নিচে শুয়ে ছিলেন। এই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে গণমাধ্যম এবং ফেসবুকে তাকে নিয়ে ভুল সংবাদ প্রচারিত হয়। তিনি আরো জানান, তার পরিবারের লোকজন তাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য রওনা হয়েছে। প্রশাসন এবং চিকিৎসকদের উপস্থিতিতে আমরা তাকে ভালো পরিবেশে থাকার অফার করেছিলাম। কিন্তু তিনি আমাদেরকে জানিয়েছেন, তিনি আপাতত মাজার এই অবস্থান করবেন। পরিবারের সদস্যরা এলে পরে তিনি ঢাকায় ফিরে যাবেন।