দেশের বিভিন্ন স্থানে পেশাগত দায়িত্ব পালনরত সাংবাদিকদের ওপর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের বারবার ন্যক্কারজনক হামলায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (জবিসাস)।সোমবার (২ জুন) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির দপ্তর সম্পাদক সাকেরুল ইসলাম সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ইমরান হুসাইন ও সাধারণ সম্পাদক মাহতাব হোসেন লিমন এক যৌথ বিবৃতিতে এ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, স্বাধীন ও মুক্ত গণমাধ্যম একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জন্য অপরিহার্য। সাংবাদিকরা পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে নিরাপত্তা পাওয়ার অধিকার রাখেন।তা ছাড়া গণতন্ত্রের বিকাশ এবং সুশাসনের জন্য সাংবাদিকদের নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা প্রয়োজন। বারবার গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর আঘাত করে ছাত্রদল নেতাকর্মীরা তাদের ফ্যাসিবাদী মনোভাব ও চেহারা প্রকাশ করছে। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, যেন তারা তাদের কর্মীদের প্রশিক্ষিত ও সহনশীল করে তোলেন, যাতে সংবাদকর্মীরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেন।বিবৃতিতে তারা আরো বলেন, গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধের যে অপচেষ্টা চলছে, তা গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী নতুন বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথে অন্তরায়।গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া ছাত্র-জনতার প্রধান দাবি ছিল, ছাত্ররাজনীতির মৌলিক সংস্কার ও একটি মুক্ত, স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিবেশ নিশ্চিত করা। কিন্তু সাম্প্রতিক ন্যক্কারজনক হামলার ঘটনা গণতন্ত্রপন্থী মুক্তিকামী ছাত্র-জনতার প্রত্যাশার বিপরীত চিত্র প্রদর্শিত হচ্ছে।এ ছাড়া সংবাদমাধ্যম উদ্ধৃতি দিয়ে বিবৃতিতে আরো বলা হয়, জুলাই গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে ২৮ মে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে, ২৬ মে সরকারি তিতুমীর কলেজে, ১৭ নভেম্বর ২০২৪ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে, ১৭ নভেম্বর ২০২৪ নারায়ণগঞ্জে, ২৭ মার্চ ২০২৫ বরিশালে, ১৫ মে ২০২৫ কুমিল্লায় ছাত্রদল নেতাকর্মী কর্তৃক সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। বারবার গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর হামলার পরও কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতৃবৃন্দ নির্লিপ্ত ভূমিকা পালন করছে।অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কার্যকর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছেন তারা।বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে জবিসাস নেতারা বলেন, এমন ন্যক্কারজনক ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকেও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।