বিকেল সাড়ে ৫টায় আসবেন বলে কথা দিয়েছিলেন তিনি। সেই অনুযায়ী হাতিরঝিলের জনসভা শেষে রওনাও দিয়েছিলেন। কিন্তু যানজটে আটকে থাকতে থাকতে রাজধানীতে নিজের নির্বাচনী এলাকা পল্লবীর বয়োজ্যেষ্ঠদের সঙ্গে উঠান বৈঠকের সময়ও ঘনিয়ে আসে।
তাই ফোনে সময় বদলানোর অনুরোধ, ‘আমি বরং সব সেরে একবারেই আসি।গত বুধবার বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হকের আসতে আসতে তাই পেরিয়ে যায় রাত ১০টা। সাক্ষাৎকারভিত্তিক নিয়মিত আয়োজন ‘অন অ্যান্ড অব দ্য ফিল্ড’-এর স্টুডিওতে বসে প্রশ্নোত্তর পর্ব শেষ করতে করতে মধ্যরাত। তখনো দিব্যি সজীব এবং প্রাণবন্ত সাবেক এই গোলরক্ষক তাঁর ফেলে আসা জীবনের চর্চার প্রতি কৃতজ্ঞ, ‘ফুটবলের ফিটনেসটা রাজনীতিতে এসেও কাজে লাগছে। বিশেষ করে এখন সারা দিন কথা বলতে হয়।তবু আমি ক্লান্ত হই না।’এমনকি অত রাতে ক্লান্তিহীন ডিজিটালের অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পরও। বিএনপি ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমিনুলের দেখা পেতে যে মাঝরাতেও কার্যালয়ের সামনে উপস্থিত অনেক নেতাকর্মী।তাঁদের হাসিমুখে বিদায় দিতেও পেরিয়ে যায় আরো কিছু সময়।এখন পুরোদস্তুর রাজনীতিবিদ আমিনুলের তবু ফুটবল নিয়ে কথা না বললেই নয়। এখন প্রবাসীদের ঘিরে দেশের ফুটবল জাগরণের যে চেষ্টা, সেটির বিরোধিতা না করলেও এটিকে সমাধান বলেও মনে করেন না ২০০৩ সালে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ-জয়ী দলের গোলরক্ষক, ‘প্রবাসীদের এনে আমরা সাময়িকভাবে উপকৃত হতে পারি। কিন্তু সত্যিকারের উন্নতি করতে হলে আমাদের তৃণমূলে যেতেই হবে। আগের মতো সোহরাওয়ার্দী কাপ ও মা-মণি গোল্ডকাপের মতো টুর্নামেন্টগুলো চালু করতে হবে।’আলোচনায় যে প্রসঙ্গ ওঠা অবধারিত ছিল, সেটি তোলার দিন সন্ধ্যায়ই আবার গ্রেপ্তার হন আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য নাঈমুর রহমান।একই দলের এমপি হওয়ার সুবাদে দেশে ফিরতে পারছেন না সাকিব আল হাসান, আড়ালের জীবন বেছে নিয়েছেন মাশরাফি বিন মর্তুজাও। তাঁদের নিয়ে আমিনুলের কণ্ঠ খুব জোরালোও নয়। তা নিয়ে প্রশ্নে এই সাবেক অধিনায়ক ব্যাখ্যা করলেন নিজের অবস্থান, ‘স্বৈরাচারের দোসর এবং অবৈধ সংসদের একজন এমপি সাকিবের বিষয়ে সিদ্ধান্ত রাষ্ট্র নেবে। খেলোয়াড় থাকাকালীন অবৈধ সরকারের প্রলোভনে পড়ে তাঁর এমপি হওয়ার বিষয়টি যদি ভুলে যান, তাহলে ওই যে রক্ত ঝরেছে এবং যাঁদের জীবন গেছে, তাঁদের সঙ্গে বেঈমানি করা হবে।’