সুদানের রাজধানী খার্তুমের দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত তামবুল শহরে সেনাবাহিনী আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বুধবার ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে। দুই প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে এএফপি এ খবর জানিয়েছেন।
তামবুলের এক বাসিন্দা বলেছেন, শহরের কেন্দ্রীয় চত্বরে অনুষ্ঠানের জন্য ‘শত শত মানুষ জড়ো’ হয়ে থাকা অবস্থায় আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় হলে সেখানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়।কয়েক মাসের মধ্যে আলজাজিরা রাজ্যে এটাই প্রথম এ ধরনের হামলা।এতে হতাহতের কোনো তাৎক্ষণিক খবর মেলেনি এবং সেনাবাহিনী কিংবা তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী আধাসামরিক বাহিনী—দুই পক্ষের কেউই এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। যুদ্ধের আগে আলজাজিরা ছিল সুদানের কৃষি উৎপাদনের মূল কেন্দ্র।জানুয়ারিতে সেনাবাহিনী আধাসামরিক র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) কাছ থেকে এলাকাটি পুনর্দখল করে। তার পর থেকে এটি বেশ শান্ত ছিল।একই পাল্টা অভিযানে সেনারা মার্চে রাজধানী খার্তুমও পুনর্দখল করে।জাতিসংঘের হিসাবে, জানুয়ারি থেকে আলজাজিরায় প্রায় ১০ লাখ মানুষ নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে গেছে।তামবুলে বুধবারের এই অনুষ্ঠানে সুদান শিল্ড ফোর্সেসের কমান্ডার আবু আকলা কাইকালের উপস্থিত থাকার কথা ছিল। এই সশস্ত্র গোষ্ঠী বর্তমানে সরকারি সেনাবাহিনীর পক্ষে রয়েছে, যদিও সুদানের ভয়াবহ গৃহযুদ্ধে তারা দুই পক্ষের হয়েই লড়াইয়ের সময় নৃশংসতার অভিযোগের মুখে পড়েছে।গত বছরের শেষ দিকে তার সেনাবাহিনীর পক্ষে ফিরে যাওয়া সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সেনাদের অগ্রযাত্রায় ভূমিকা রেখেছে।২০২৩ সালের এপ্রিলে শুরু হওয়া সেনাবাহিনী ও আরএসএফের মধ্যে যুদ্ধে এ পর্যন্ত লাখো মানুষ নিহত হয়েছে এবং কোটি কোটি মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে। বর্তমানে সেনারা সুদানের মধ্য, উত্তর ও পূর্বাঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করছে, আর পশ্চিমের প্রায় সব এলাকা ও দক্ষিণের কিছু অংশ আরএসএফের হাতে রয়েছে।