নোবেল যখন গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তখন স্ত্রী সালসাবিল মাহমুদ বলেছিলেন, ওর সঙ্গে কোন মেয়ে যে ৭ মাস থাকতে পারে সেটা তাঁর বিশ্বাস হয় না। সংগীতশিল্পী মাইনুল আহসান নোবেলকে গত ২০ মে গ্রেপ্তার করে ডেমরা থানা পুলিশ।
মামলার এজাহারে বলা হয়ে, ভুক্তভোগী তরুণী ঢাকার মোহাম্মদপুরে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করেন। ২০১৮ সালে নোবেলের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার পরিচয় হয়।তিনি তখন ঢাকা ইডেন মহিলা কলেজে অধ্যয়নরত ছিলেন। নোবেলের সঙ্গে মোবাইল ফোনে প্রায় সময় কথা-বার্তা বলতেন। এরপর নোবেলের সঙ্গে দেখাও করেন সেই তরুণী। নোবেল তাকে নিজের স্টুডিও দেখানোর কথা বলে ডেমরা থানা এলাকায় তার বর্তমান ঠিকানার বাসায় নিয়ে যান।এরপর সেই তরুণী ফিরতে চাইলে একপর্যায়ে আরো দুই-তিনজন বিবাদীর সহায়তায় তাকে সেই বাড়ির একটি কক্ষে আটক করে রাখেন নোবেল এবং ধর্ষণ করেন।এদিকে, নোবেলের সঙ্গে মামলার বাদীর (ইডেন মহিলা কলেজের সাবেক ছাত্রী) রেজিস্ট্রি কাবিনমূলে বিয়ের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার (১৮ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নাজমিন আক্তারের আদালতে নোবেলের আইনজীবী একটি আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়, মামলার আসামি নোবেল গত ২০ মে হতে জেলহাজতে আটক আছেন।যেহেতু বাদী ও আসামির মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝির সৃষ্টি হওয়ায় বাদী মামলাটি করেছেন। মামলার বাদী ও আসামি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হতে ইচ্ছুক। সেহেতু জেলহাজতে আসামি ও বাদীর বিয়ের অনুমতি প্রদান করা একান্ত আবশ্যক। শুনানি শেষে আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করেন।এদিকে নোবেলের স্ত্রী রয়েছেন। সম্প্রতি আলাপকালে জানিয়েছিলেন, নোবেলকে তিনি ডিভোর্স লেটার পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু সেটা মিটমাট করা হয়। ফলে তাদের মধ্যে বিচ্ছেদ হয়নি। এই অবস্থায় নোবেল দ্বিতীয় বিয়ে করতে যাচ্ছেন। নোবেলের স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও নোবেল কি তাহলে ফের বিয়ে করতে যাচ্ছেন? এ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে বেশ চর্চা হচ্ছে। অবশ্য এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত সালসাবিল মাহমুদ নিজের প্রতিক্রি জানাননি।