বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানান।জরুরি স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বুধবার দিনগত রাত ১টা ৪৮ মিনিটে হাসপাতালে যান বিএনপির চেয়ারপারসন।কিছু পরীক্ষার জন্য খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল বলে জানান তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘ম্যাডামের জন্য যে মেডিক্যাল বোর্ড রয়েছে তাদের পরামর্শে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল, আবার বাসায় ফিরে এসেছেন তিনি। মেডিক্যাল বোর্ডের জরুরি প্রয়োজনে কিছু পরীক্ষা করানোর প্রয়োজন ছিল, সেগুলো করতেই খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল।এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিক্যাল বোর্ডের অধীনে বিএনপির চেয়ারপারসন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।যুক্তরাজ্যের লন্ডনে উন্নত চিকিৎসা শেষে গত ৬ মে দেশে ফেরেন খালেদা জিয়া। সেখানে চার মাস অবস্থানকালে ‘লন্ডন ক্লিনিকে’ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা হয়।উল্লেখ্য, লন্ডন থেকে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার চেকআপের জন্য হাসপাতালে গেলেন বিএনপির চেয়ারপারসন। ঢাকায় আসার পর নিজ বাসায়ই এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধানে একটি মেডিক্যাল বোর্ড তাকে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছে।গত ৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যের লন্ডনে যান বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। লন্ডন ক্লিনিকে টানা ১৭ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর ২৫ জানুয়ারি খালেদা জিয়া তার ছেলে তারেক রহমানের বাসায় লন্ডনের ক্লিনিকের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক প্যাট্রিক কেনেডি ও অধ্যাপক জেনিফার ক্রসের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নেন। লন্ডনে যাওয়ার আগে সর্বশেষ গত ১২ সেপ্টেম্বর এভারকেয়ার হাসপাতালে গিয়েছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন।প্রায় ৮০ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিসসহ নানা শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন। তবে লন্ডন ক্লিনিকে ঝুঁকির কথা চিন্তা করে লিভার প্রতিস্থাপন করেননি চিকিৎসকরা।