ফ্যাসিস্ট সরকারবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে গত বছর ৫ আগস্ট আহত হয়ে এখনো হাসপাতালে ভর্তি আছেন শতাধিক জুলাইযোদ্ধা। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত অন্তত ১৩২ জন আহত ব্যক্তি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তাদের মধ্যে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল হিসেবে পরিচিত) ১০ জন, বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএমইউ) ৩২ জন, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ২২ জন, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দুজন এবং জাতীয় নিউরোসায়েন্সেস ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে একজন। এ ছাড়া সাভারের সিআরপিতে ১৯ জন।স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য বলছে, উন্নত চিকিৎসার জন্য এ পর্যন্ত ৭৫ জনকে বিদেশে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে সিঙ্গাপুরে ১১ জনকে, থাইল্যান্ডে ৫৬ জনকে, তুরস্কে সাতজনকে ও রাশিয়ায় একজনকে পাঠানো হয়েছে। চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেছেন ২৯ জন। এখনো থাইল্যান্ডে ৩৯ জন ও তুরস্কে সাতজন চিকিৎসার জন্য আছেন।স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, এ পর্যন্ত বিদেশে চিকিৎসায় খরচ হয়েছে ৭৮ কোটি ৫২ লাখ ২৬ হাজার ৯১০ টাকা। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে যাঁরা দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন এবং নিচ্ছেন, তাঁদের চিকিৎসার সম্পূর্ণ খরচ সরকার বহন করেছে।স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমের (এমআইএস) সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, আহত ১৩ হাজার ৮১১ জন। এর মধ্যে এক হাজারের বেশি মানুষ স্থায়ীভাবে অক্ষম।স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, এর মধ্যে ৪৯৩ জন এক চোখের দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন। দুই চোখ হারিয়েছেন ৩৯ জন। এক পা কেটে ফেলতে হয়েছে ২১ জনের। এক হাত ফেলে দিতে হয়েছে সাতজনের। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. সায়েদুর রহমান কালের কণ্ঠকে জানান, অতি গুরুতর আহত ব্যক্তিদের সংখ্যা ১৩৪।গুরুতর আহত ৮০০। এ ছাড়া মোটামুটি আহত তিন হাজার এবং সামান্য আহত সাত হাজার। এই সংখ্যার হেরফের হতে পারে।
এ ক্যাটাগরির আরো নিউজ..