নাইজেরিয়ার জাতীয় জাদুঘর ও স্মৃতিস্তম্ভ কমিশনের মহাপরিচালক ওলুগবিল হলোওয়ে এই প্রত্নবস্তুগুলোর তাৎপর্য তুলে ধরে বলেন, এগুলো শুধুই বস্তু নয়—এগুলো আমাদের আত্মপরিচয় ও অতীতের জীবন্ত প্রতীক। আমরা চাই বিশ্ব আমাদের সঙ্গে ন্যায্যতা, মর্যাদা ও শ্রদ্ধার ভিত্তিতে আচরণ করুক।হলোওয়ে আরও জানান, জার্মানি ১,০০০-এর বেশি নিদর্শন ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যা ঔপনিবেশিক আমলে সংগ্রহ করা হয়েছিল।এই ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলোকে বেনিন ব্রোঞ্জ নামে অভিহিত করা হয়। এগুলোর মধ্যে ১৬শ থেকে ১৮শ শতাব্দীর মধ্যে তৈরি ধাতু ও হাতির দাঁতের সূক্ষ্ম ভাস্কর্য রয়েছে। ১৮৯৭ সালে ব্রিটিশ সেনা অভিযানে বেনিন লুণ্ঠনের সময় এগুলো নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, যখন রাজা ওভনরামওয়েন নোগবাইসিকে নির্বাসনে পাঠানো হয়।
উল্লেখ্য, নাইজেরিয়া ২০২২ সালে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন জাদুঘর ও সংগ্রহশালা থেকে তাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ফেরত চেয়ে আনুষ্ঠানিক আবেদন করে। একই বছরে যুক্তরাজ্যের একটি জাদুঘর থেকে ৭২টি এবং যুক্তরাষ্ট্রের রোড আইল্যান্ড থেকে ৩১টি প্রত্নবস্তু ফেরত আসে।