আপনি তো নির্মাণও করেন। কিন্তু বিষয়টা কি আড়ালে রাখতে চান? মানে এটা নিয়ে সেভাবে কথা বলতে দেখা যায় না আপনাকে…নির্মাণ আমার ব্যক্তিগত জায়গা। ক্রিয়েশনের প্রতি সবারই নিজস্ব চিন্তা থাকে, ভাবনা থাকে। সেটা সব সময় পাবলিকলি বলার দরকার পড়ে না। নির্মাণ আমার খুব ব্যক্তিগত আবেগের জায়গা। এটাকে আমি আগলে রাখতে চাই। কখনো যদি ভালো কিছু করি, তাহলে সবাই জানতে পারবে।
কিন্তু মানুষের জন্যই তো নির্মাণ করেন। না জানালে কিভাবে হবে?আসলে নির্মাণ থেকে আমার পরিচিতি পেতে হবে—এমনটা ভাবি না আমি। ধরুন, কেউ ক্রিকেট খেলতে পছন্দ করে। এখন সবাইকে জানিয়ে তো ক্রিকেট খেলার প্রয়োজন নেই। ইচ্ছা হলে কোনো পাড়া-মহল্লায় গিয়ে একটা ম্যাচ খেলে এলেই হয়ে যায়।
জেফারের নতুন গান ‘তীর’-এর ভিডিও বানিয়েছেন। আর কী কী এসেছে আপনার নির্মাণে?সাত-আট মাস আগে জেফারের ‘তীর’ নির্মাণ করেছি। জেফার আমাকে বিষয়টা বুঝিয়ে বলে, সে কী ধরনের ভিডিও চায়। এরপর সেটাকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার চেষ্টা করেছি। এর আগে জেফার ও মুজার ‘ঝুমকা’, হাবিব ওয়াহিদের ‘বেণী খুলে’, ‘একলা দুনিয়া’, প্রতীক হাসান ও প্রীতম হাসানের ‘প্রেমে দেওয়ানা’ গানগুলোর ভিডিও আমার বানানো। এ ছাড়া কিছু বিজ্ঞাপনচিত্রও বানিয়েছি।
নির্মাণ নিয়ে আপনার ভবিষ্যৎ ভাবনা কী?যদি নতুন কিছু করার থাকে, তাহলে নির্মাণ করব। চাইলে অনেক কিছুই বানানো যায়।কিন্তু আমি ইউনিক কোনো আইডিয়া পেলে তবেই কাজ করি এবং পূর্ণ মনোযোগ ও সময় দিয়ে করি। নাটক-সিনেমা নির্মাণের কোনো পরিকল্পনা এখনই নেই। আরো পরে সেটা ভাবব। যদি মনে হয়, একটা গল্প তুলে ধরার জন্য আমি সক্ষম, তাহলে করব। আত্মবিশ্বাস এলে তবেই কাজ করা উচিত। ভালো গল্প, যে গল্পটা বলা উচিত, সেটাই আমি বলতে চাই।
অভিনয় নাকি নির্মাণ, কোনটা সহজতর?কোনো কাজই সহজ না। তবে একটা আরেকটার সঙ্গে জড়িত। একটা কিছুটা টেকনিক্যাল, আরেকটা পুরোপুরি ব্যক্তিকেন্দ্রিক। অভিনয় কঠিন, কারণ একটা চরিত্র হয়ে ওঠা সহজ ব্যাপার না। তবে নির্মাণে প্রি-প্রডাকশন থেকে শুরু করে সবকিছু গুছিয়ে কাজটা হয়। অভিনয়ে যেহেতু ব্যস্ততা বেশি থাকে, খুব বেশি প্রস্তুতি নেওয়ার সুযোগ হয় না। তবে হ্যাঁ, করতে করতে কাজ ভালো হয়। সেই চেষ্টাতেই আছি। অভিনয় ও নির্মাণ দুটিতেই নিজেকে আরো শাণিত করতে চাই।