থাইরয়েড ক্যান্সার থাইরয়েড গ্রন্থিতে সৃষ্ট একটি রোগ। যা সময়মতো শনাক্ত না হলে ভয়াবহ ফল ডেকে আনতে পারে। তবে প্রাথমিক ধাপে লক্ষণগুলো বুঝে ফেলা গেলে উন্নত চিকিৎসা শুরু করা যায়। চলুন, জেনে নিই সহজভাবে এটি বোঝার কয়েকটি লক্ষণ।
গিলতে বা শ্বাস নিতে অসুবিধে (ডিসফেজিয়া)
খাদ্য গিলতে বা শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। অনেক সময় রোগীরা মনে করেন এটা অ্যাসিড রিফ্লাক্স বা গলা ব্যথার কারণে। প্রাথমিক পর্যায়ে স্পষ্ট না হলেও খাবার গিলে ব্যথা অনুভূত হতে পারে। গলায় কিছু আটকে থাকার মতো অনুভূতি হয়।থাইরয়েড টিউমার বড় হলে খাদ্যনালী বা শ্বাসনালীতে চাপ সৃষ্টি করে এই লক্ষণ দেখা দেয়।
গলায় গুটি বা ফোলা (থাইরয়েড নডিউল)
ঘাড়ের সামনের অংশে ব্যথা নয় এমন কোনো ফোলা ধরা পড়ে। অনেকেই ভাবেন এটা সাধারণ ঠাণ্ডা বা লিম্ফ নোডের সংক্রমণ। টিউমারের অবস্থা পরে বাড়তে পারে।থাইরয়েডে পিণ্ড একেবারে সাধারণ। যেসব ক্ষেত্রে প্রায় ৫% আয়ুরারি পিণ্ড ক্যানসার হতে পারে। নতুন কোনো ফোলা দেখা দিলে বা বড় হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
দীর্ঘস্থায়ী শুষ্ক কাশি
থাইরয়েড টিউমার শ্বাসনালীকে চাপ দিলে কাশি হতে পারে। এটি সাধারণ ঠাণ্ডা বা অ্যালার্জির কাশি থেকে আলাদা।এমনকি তা নিঃশ্বাস নিতে সমস্যা তৈরি করে। চার সপ্তাহ বা তার বেশি সময় ধরে কমছে না এমন ধরনের শুষ্ক কাশি হলে বিশেষ নজর দিতে হবে।
ঘাড় ও কানের মধ্যে ছড়িয়ে যাওয়া ব্যথা
কোনো কারণ ছাড়াই ঘাড়ে ব্যথা অনুভূত হতে পারে, যা অনেক সময় কানের দিকে ছড়িয়ে যায়।এটি সাধারণ ব্যথা না হলে থাইরয়েড টিউমারের লক্ষণ হতে পারে। কোনো পিণ্ডের সঙ্গে এই ব্যথা থাকলে আরও সতর্ক হওয়া উচিত।
সতর্কতা
বিষম খাওয়ার সমস্যা, গলার ফোলা বা কাশি— একাধিক লক্ষণ এক সাথে হলে তা উপেক্ষা করা ঠিক হবে না। গলার সমস্যায় দ্রুত থাইরয়েডের ডাক্তার বা এন্ডোক্রিনোলজিস্টের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
এ ক্যাটাগরির আরো নিউজ..