চাঁদপুরে যুবধারা সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতি লিমিটেডের চেয়ারম্যান জুলহাস মিয়ার বিরুদ্ধে গ্রাহকের কয়েক কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। গত দুই সপ্তাহ ধরে তার খোঁজ না পেয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন হাজারের বেশি গ্রাহক।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার হাজীগঞ্জের বাকিলা এলাকায় যুবধারা সমবায় সমিতির প্রধান কার্যালয়, চাঁদপুর শহর ও বাবুরহাট শাখায় দীর্ঘদিন ধরে তালা ঝুলছে। অফিস বন্ধ থাকায় প্রতিদিন অসংখ্য গ্রাহক এসব শাখার সামনে ভিড় করছেন।অনেকেই ফেসবুকে সমিতির চেয়ারম্যান জুলহাস মিয়ার ছবি দিয়ে তার খোঁজে প্রচারণা চালাচ্ছেন। কেউ কেউ পুরস্কার ঘোষণা করেও পোস্ট দিয়েছেন।ভুক্তভোগী একাধিক গ্রাহক বলেন, জুলহাস মিয়া আত্মগোপনে যাওয়ার আগেই গ্রাহকদের সঞ্চয় বই হাতিয়ে নেন। পাশাপাশি নানা প্রলোভনে ফেলে বিভিন্নজনকে নগদ অর্থ ও বোনাস দেওয়ার আশ্বাসও দেন তিনি।এদের কেউ কেউ ব্যাংক চেক পেলেও টাকা তুলতে গিয়ে দেখেন অ্যাকাউন্টে টাকা নেই। একাধিক ভুক্তভোগী জানান, কেউ এক লাখ, কেউ চার লাখ, আবার কেউ কেউ ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা পর্যন্ত জমা রেখেছেন যুবধারা নামে এই সমবায় সমিতিতে। শাহনাজ বেগম নামে এক নারী গ্রাহক জানান, তিনি ১২ লাখ টাকা জমা রেখেছিলেন। এখন সেই টাকার কিছুই বুঝে পাচ্ছেন না।মকবুল হোসেন নামে আরেক গ্রাহক অভিযোগ করেন, তার ১০ লাখ টাকার কোনো হদিস নেই।অভিযুক্ত জুলহাস মিয়ার বিরুদ্ধে চাঁদপুরের আদালতে ‘চান্দ্রা শিক্ষিত বেকার সমিতি’র পক্ষ থেকে দেওয়া ৭৫ লাখ টাকার দুটি চেক প্রতারণা মামলা চলমান রয়েছে। বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগী এ তথ্য জানিয়েছেন। পাশাপাশি ভুক্তভোগী ৪০ থেকে ৫০ গ্রাহক হাজীগঞ্জ ও সদর মডেল থানায় মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে সরকারি প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দ্রুত হস্তক্ষেপ চান ভুক্তভোগী গ্রাহকরা।আত্মগোপনে যাওয়ার আগে অভিযুক্ত জুলহাস মিয়া তার বাড়িও বিক্রি করে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে বৃহস্পতিবার বিকেলে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সাড়া দেননি জুলহাস মিয়া।