১৯৩৬ সালের এই দিনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মৌড়াইল গ্রামের মোল্লাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ‘সোনালী কাবিন’ কাব্যগ্রন্থের মাধ্যমে সাহিত্যানুরাগীদের মনে স্থান করে নিয়েছিলেন কবি আল মাহমুদ। সংবাদপত্রে লেখালেখির সূত্র ধরে ১৯৫৪ সালে তিনি ঢাকায় আসেন। প্রথমে সাপ্তাহিক কাফেলা, তারপর দৈনিক মিল্লাতে সাংবাদিকতা করেন।১৯৬৩ সালে দৈনিক ইত্তেফাকে কাজ করেছিলেন। সেখানের মফস্বল পাতার সম্পাদক হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়ও তিনি বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৭২ সালে সরকারবিরোধী একমাত্র পত্রিকা জাসদের মুখপত্র ‘গণকণ্ঠ’র সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি।১৯৭৪ সালে কারাবরণ করেছিলেন তিনি। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁকে শিল্পকলা একাডেমির সহ-পরিচালক পদে নিয়োগ দেন। পরিচালক হিসেবে ১৯৯৩ সালে অবসর গ্রহণ করেন। কবিতা, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, ভ্রমণকাহিনি, আত্মজীবনীসহ সাহিত্যের সব শাখাতেই তাঁর বিচরণ ছিল। তাঁর লেখনীতে প্রথমদিকে গ্রামের জীবন, বামপন্থী চিন্তাধারা এবং নারী মুখ্য হয়ে উঠলেও পরে ইসলামী ভাবধারাও প্রবল হয়ে ওঠে।তাঁর লেখা প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘লোক লোকান্তর’ প্রকাশিত হয় ১৯৬৩ সালে। কিন্তু ১৯৬৬ সালে প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ ‘সোনালী কাবিন’ আল মাহমুদকে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে নিয়ে যায়। তাঁর বিখ্যাত গল্পগ্রন্থ ‘পানকৌড়ির রক্ত’।