রাজধানী ঢাকার উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনাকে ‘কাঠামোগত হত্যাকাণ্ড’ উল্লেখ করে মশাল মিছিল করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) একদল শিক্ষার্থী। মঙ্গলবার(২২ জুলাই) রাত সাড়ে ৭টার দিকে ‘নিপীড়নের বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার থেকে মিছিলটি বের করেন তারা।
মিছিলটি কয়েকটি সড়ক ঘুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকায় এসে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয় । সমাবেশে শিক্ষার্থীরা মাইলস্টোনের শিক্ষার্থীদের ৬ দফা দাবির সঙ্গে সংহতি জানিয়ে তাদের উপর সেনা ও পুলিশি হামলার বিচারের দাবি জানান।এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইজা মেহজাবিন প্রিয়ন্তী বলেন, মাইলস্টোনের ঘটনা কোনো দুর্ঘটনা নয়, বরং এটি একটি কাঠামোগত হত্যাকাণ্ড। যা বাংলাদেশের ইতিহাসে বারবার দেখছি। গত স্বৈরাচারী আমলে আমরা রানা প্লাজা ধ্বংসের হত্যাকাণ্ড, বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা দেখেছি। তারই পুনরাবৃত্তি আমরা দেখেছি মাইলস্টোনের নির্মম হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে, যে হত্যাকাণ্ড বিগত সকল অবকাঠামোগত হত্যাকাণ্ডের সীমা ছাড়িয়ে গেছে।এতোগুলো প্রাণ পরিকল্পনাগত অব্যবস্থাপনার কারণে ঝরে গেছে।এ দিকে রাত পৌনে ৯টার দিকে বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণে শোক সংহতি ও মোমবাতি প্রজ্বলন কর্মসূচি পালন করেছে জাবি প্রশাসন।এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের পাদদেশে মোমবাতি প্রজ্বলন কর্মসূচি পালন করেন তারা। সে সময়, শহীদদের স্মরণে ১ মিনিট নিরবতা পালন করেন তারা।এ কর্মসূচিতে জাবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আব্দুর রব, শিক্ষার্থী কল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক জামাল উদ্দিন, প্রক্টর অধ্যাপক একেএম রাশিদুল আলমসহ অন্যান্য প্রশাসনিক শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। এতে অর্ধ-শতাধিক শিক্ষার্থীও অংশ নেন।এদিকে মাইলস্টোনের ঘটনার বিচারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর ন্যক্কারজনক পুলিশি হামলার প্রতিবাদে রাত সাড়ে ১০টার দিকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে একটি মশাল মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা নামক স্থান মশাল মিছিলটি বের। পরবর্তী কয়েকটি সড়ক প্রদক্ষিণ করেন তারা।