জামায়াত আমির বলেন, শহীদ পরিবারের সদস্যদের জন্য চাকরি বা সুযোগ-সুবিধা দেওয়াকে অনেকে কোটা বলছেন। কিন্তু এটাকে কোটা বলা যায় না।কোটা হচ্ছে যুগের পর যুগ একেক শ্রেণির কপালে জুড়ে দেওয়া একটা সুবিধা। শহীদ পরিবারের লোকজন সেটা চাননি। এটা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব, সম্মানের সঙ্গে তাঁদের পাশে দাঁড়ানো।শফিকুর রহমান জানান, শহীদদের অন্তত ৭০ শতাংশ ছিলেন নিম্ন আয়ের মানুষ।কিন্তু দেশের স্বাধীনতা ও মুক্তির জন্য তাঁরা বিনা দ্বিধায় প্রাণ দিয়েছেন। এখন তাঁদের পরিবারের দায়িত্ব নিতে হবে পুরো জাতিকে, বিশেষ করে সরকারকে।জামায়াত আমির বলেন, “শহীদ পরিবারগুলো এখন ‘জুলাই সনদ’-এর দাবি তুলেছে। এটি কেবল তাদের দাবি নয়, এটি ১৮ কোটি মানুষের মুক্তির সনদ।অথচ এই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোতে কোনো আন্তরিকতা নেই। ঐকমত্য কমিশনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আলোচনা হলেও জুলাই সনদ পেছনে পড়ে আছে।”তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের উদ্দেশে বলেন, জুলাইয়ের শহীদরা জীবন না দিলে আজ আপনাদের কেরানীগঞ্জ বা কাশিমপুর কারাগারে থাকতে হতো। তাই আগে জুলাই সনদ প্রণয়ন করুন, অন্য সব কাজ পরে হবে।অনুষ্ঠানটি স্থানীয় সরকার বিভাগের সহযোগিতায় যৌথভাবে আয়োজন করে জুলাই-২৪ শহীদ পরিবার সোসাইটি এবং ন্যাশনাল ইয়ুথ অ্যালায়েন্স বাংলাদেশ।