বৈঠকে ইইউর পণ্যে ১৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের বিষয়ে দুই পক্ষ একমত হয়েছে।এর আগে গত শুক্রবার ইউরোপের ওপর ৩০ শতাংশ আমদানি শুল্কের হুমকি দেন ট্রাম্প, যা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। শেষমেশ পূর্বঘোষিত শুল্কের অর্ধেক কমাতে সম্মত হয়েছেন তিনি। রবিবার ইইউ-এর পক্ষ থেকে এ বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করা হয়। ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডের লিয়েন চুক্তিকে ‘বিশাল অর্জন’ বলে উল্লেখ করেছেন।তিনি বলেন, ‘এটি উভয় পক্ষের জন্য একটি স্থিতিশীল বাণিজ্যিক পরিবেশ তৈরি করবে এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরো দৃঢ় করবে।’চুক্তি অনুসারে, প্রায় ৬০০ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ বাড়াবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যার মধ্যে মার্কিন সামরিক সরঞ্জাম ক্রয়ও রয়েছে। পাশাপাশি জ্বালানি খাতে ইইউ ব্যয় করবে ৭৫০ বিলিয়ন ডলার। এই খাতে তরল প্রাকৃতিক গ্যাস, তেল ও পরমাণু জ্বালানি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।চুক্তির আওতায় কিছু পণ্য শুল্কমুক্ত থাকবে, যেমন বিমান ও এর যন্ত্রাংশ, রাসায়নিক এবং কৃষি পণ্য। সেমিকন্ডাক্টর পণ্যের জন্যও একটি নতুন চুক্তি হয়েছে। তবে অ্যালুমিনিয়াম ও স্টিলের ওপর ট্রাম্পের ঘোষিত ৫০ শতাংশ বৈশ্বিক শুল্ক বহাল থাকবে।বিশ্ব বাণিজ্যের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ এই দুই অর্থনৈতিক অংশীদারের মধ্যে হয়ে থাকে। ট্রাম্প প্রশাসন দীর্ঘদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে এবং দেশীয় শিল্পকে সুরক্ষা দিতে বিভিন্ন দেশের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করে আসছে।এর আওতায় ব্রিটেন, জাপান, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন ও ভিয়েতনাম রয়েছে। স্কটল্যান্ডে পাঁচ দিনের সফরে থাকা ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা একটি ভালো চুক্তিতে পৌঁছেছি, যা সকল পক্ষের জন্য লাভজনক হবে। এই চুক্তি আমাদের সম্পর্ককে আরো ঘনিষ্ঠ করবে।’