অনেকেই মনে করছেন, এ পদক্ষেপের ফলে সিরিয়ায় আন্তর্জাতিক বিনিয়োগের পথ উন্মুক্ত হতে পারে। বিষয়টি নিশ্চিত করে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ জানায়, নতুন আদেশের আওতায় সিরিয়ার উন্নয়ন, সরকারি কর্মকাণ্ড ও সামাজিক পুনর্গঠনে জড়িত গুরুত্বপূর্ণ সংস্থাগুলোর ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হচ্ছে।প্রসঙ্গত, সিরিয়া ২০১১ সালে গৃহযুদ্ধ শুরুর আগ থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার আওতায় ছিল। মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে এসব নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল, যা দেশটির অর্থনীতিকে সংকটের দিকে ঠেলে দেয় এবং পুনর্গঠনের প্রচেষ্টাকে ব্যাহত করে।মধ্যপ্রাচ্যে মে মাসে সফরের সময় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সিরিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সে অনুযায়ী এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র এমন একটি সিরিয়াকে সমর্থন করে, যা শান্তিপূর্ণ, একতাবদ্ধ, আত্মনির্ভরশীল এবং প্রতিবেশীদের সঙ্গে সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখবে।’তিনি আরো বলেন, ‘একটি নিরাপদ ও একীভূত সিরিয়া, যা সন্ত্রাসবাদ থেকে মুক্ত এবং সব ধর্ম ও জাতিগোষ্ঠীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করে— তা মধ্যপ্রাচ্যের স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।’ তবে এই শিথিলতার মধ্যেও সিরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ ও তার ঘনিষ্ঠজন, ইসলামিক স্টেট (আইএস), ইরান এবং তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে আরোপিত নিষেধাজ্ঞাগুলো বহাল থাকবে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।ট্রেজারি বিভাগ জানায়, এখন পর্যন্ত ৫১৮টি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে নিষেধাজ্ঞার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তবে সব নিষেধাজ্ঞা একবারেই প্রত্যাহার করা হচ্ছে না। বিশেষ করে ‘সিজার অ্যাক্ট’-এর আওতায় থাকা নিষেধাজ্ঞাগুলো এখনও কার্যকর থাকবে এবং সেগুলো পর্যবেক্ষণের পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এই আইন সিরিয়ার যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে কঠোর অর্থনৈতিক পদক্ষেপ নেওয়ার সুযোগ দিয়েছিল।