দণ্ডিত অন্য আসামিরা হলেন হৃদয়ের বন্ধু ফাহাদ শেখ পিয়াল, দেলোয়ার হোসেন দেলু, সুজন ও উজ্জ্বল।এদিন রায় ঘোষণার সময় পিয়াল, সুজন এবং উজ্জল আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। হৃদয় ও দেলোয়ার হোসেন পলাতক রয়েছেন। আদালত তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।মামলার সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী কিশোরীর সঙ্গে হৃদয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। হৃদয় তার প্রেমিকাকে ২০১৯ সালের ২২ নভেম্বর সন্ধ্যায় শেরেবাংলানগর থানা এলাকায় দেখা করতে যেতে বলে। ওই কিশোরী দেখা করতে গেলে হৃদয় তাকে পার্শ্ববর্তী ফাহাদ শেখ পিয়ালের বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে হৃদয় কিশোরীকে কোমল পানীয়ের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাওয়ায়।অচেতন অবস্থায় আসামিরা কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ছয় দিন ধর্ষণ করে। ওই বছরের ২৭ নভেম্বর ভিকটিম কৌশলে সেখান থেকে পালিয়ে বাসায় আসে। এই ঘটনায় কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে শেরেবাংলানগর থানায় ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর মামলা করেন। ২০২০ সালের ২৩ ডিসেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শেরেবাংলানগর থানার পরিদর্শক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আাদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০২১ সালে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়।বিচারকালে আদালত ১৭ জন সাক্ষীর মধ্যে পাঁচজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।