চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে টানা দুই দিনের সংঘর্ষের ঘটনার মূলহোতা ও স্থানীয় যুবলীগ নেতা মো. হান্নানকে (৩৩) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। বৃহস্পতিবার রাতে চট্টগ্রামের হাটহাজারীর ফতেপুর ইউনিয়ন থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত মোট ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।হান্নান সংঘর্ষের ঘটনায় হওয়া মামলার এজাহারভুক্ত ৫৬ নম্বার আসামি।এ মামলায় ১নং আসামি যুবলীগ নেতা হানিফের সহযোগী বলে জানিয়েছে র্যাব। র্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এ আর এম মোজাফ্ফর হোসেন বলেন, চবি শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের সংঘর্ষের মূলহোতা মো. হান্নানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি স্বীকার করেছেন, স্থানীয়দের তিনি প্রলুব্দ করেছেন সংঘর্ষে জড়াতে। তিনি স্থানীয় যুবলীগ নেতা ও মামলার ১নং আসামি হানিফের সহযোগী।এদিকে চবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে গ্রামবাসীর সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া ও হাটহাজারীর ফতেহপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা ইমরান হোসেন এমরান, মো. হাসান, মো. রাসেল কালা রাসেল, মো. আলমগীর, নজরুল ইসলাম, মো. জাহেদ, মো. আরমান ও দিদারুল আলমের জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুন নাহারের আদালত শুনানি শেষে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।চট্টগ্রাম জেলা কোর্ট পরিদর্শক হাবিবুর রহমান জানান, গ্রেপ্তার আট আসামিকে থানা থেকে আদালতে পাঠানো হয়। তাদের জামিন আবেদন করা হলে উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।উল্লেখ্য, গত ৩০ আগস্ট চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেট সংলগ্ন একটি ভবনের ভাড়াটিয়া এক ছাত্রীর সঙ্গে ভবনের নিরাপত্তারক্ষীর বাকবিতণ্ডার জেরে গ্রামবাসীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান ছাত্ররা। রাতে শুরু হওয়া ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া আর সংঘর্ষ পরদিন ৩১ আগস্ট সারা দিন থেমে থেমে চলতে থাকে। এ সময় শিক্ষার্থী, প্রক্টরিয়াল বডির সদস্য, উপ-উপাচার্যসহ কয়েকশ আহত হন। সংঘাতের পর ১ সেপ্টেম্বর ক্যাম্পাস ও আশপাশে ১৪৪ ধারা জারি করে হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসন। ঘটনার দুদিন পর ১ সেপ্টেম্বর বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা দপ্তরের ডেপুটি রেজিস্ট্রার আবদুর রহিম বাদী হয়ে স্থানীয় যুবলীগ কর্মী মো. হানিফকে প্রধান আসামি করে ৯৫ জনের নামে মামলা করেন।এ ছাড়া এই মামলায় আরো প্রায় এক হাজার জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
এ ক্যাটাগরির আরো নিউজ..