২৯ বছর বয়সী ওই যুবকের নাম ইয়ান। তিনি গত জুন মাসে সাংহাইয়ের ঝোংশান হাসপাতালে যান। তার ধারণা ছিল খাবারের সঙ্গে সম্ভবত প্লাস্টিক খেয়ে ফেলেছেন। কিন্তু চিকিৎসকরা তার দেহে প্লাস্টিক নয়, বরং ১৫ সেন্টিমিটার দীর্ঘ একটি চামচ খুঁজে পান, যা আটকে ছিল তার ক্ষুদ্রান্ত্রের প্রথম অংশ ডিউডেনামে।চামচটি এমন একটি জায়গায় ছিল যেখানে সামান্য নড়াচড়াতেই অন্ত্র ছিদ্র হয়ে যেতে পারত, সৃষ্টি হতে পারত ভয়ানক প্রদাহ বা রক্তক্ষরণ।এ পর্যায়ে ইয়ান বুঝতে পারেন, থাইল্যান্ডে জানুয়ারি মাসে ঘটে যাওয়া ঘটনাটি স্বপ্ন ছিল না। সেখানে মদ্যপ অবস্থায় নিজ হোটেল রুমে বমি করার চেষ্টা করেন একটি সিরামিক চামচ ব্যবহার করে। কিন্তু চামচটি হঠাৎ তার গলার ভেতর ঢুকে যায় এবং পাকস্থলীতে চলে যায়।পরদিন সকালে ইয়ান জেগে ওঠেন এবং ঘটনাটি নিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়েন।তিনি ভাবেন এটি শুধুই একটি অদ্ভুত স্বপ্ন ছিল। পেটে অস্বস্তি হলেও সেটিকে বমির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বলে ধরে নেন। সাংহাই ফিরে আসার পরও তিনি নিয়মিত শরীরচর্চা চালিয়ে যান এবং তেমন কোনো সমস্যা অনুভব করেননি।চিকিৎসকরা জানান, চামচটি বের করা ছিল একটি জটিল প্রক্রিয়া।কারণ এটি ছিল পিচ্ছিল এবং অবস্থানগত দিক থেকে বিপজ্জনক। ১৮ জুন ইয়ানের এন্ডোস্কোপিক সার্জারি করা হয়। প্রথমে স্নেয়ার ফোর্সেপ ব্যবহার করে চামচটি ধরার চেষ্টা করা হয়, কিন্তু ব্যর্থ হন চিকিৎসকরা। পরবর্তীতে হাসপাতালের এন্ডোস্কোপি কেন্দ্রের পরিচালক ঝো হংপিং দুটি ফোর্সেপ একসঙ্গে ব্যবহার করে চামচটিকে পাকস্থলীতে ফেরত এনে পুনরায় স্নেয়ার টুল দিয়ে বের করার সিদ্ধান্ত নেন। সার্জারির ৯০ মিনিট পর তারা সফল হন। সপ্তাহখানেক পর ইয়ান হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান এবং জানান, তিনি কৃতজ্ঞ।একজন অনলাইন ব্যবহারকারী মন্তব্য করেন, ‘নেশার ঘোরে মানুষ যে কত কিছু করতে পারে, তার আরেক প্রমাণ।’ আরেকজন লেখেন, ‘চমকপ্রদ যে তিনি চামচের বদলে অন্য সমস্যার জন্য চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলেন।’সম্প্রতি আরেক চীনা নাগরিকের খবর সামনে এসেছে। ৬৪ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি জানান, তার অন্ত্রে ১৭ সেন্টিমিটার লম্বা একটি টুথব্রাশ আটকে ছিল টানা ৫২ বছর! ১২ বছর বয়সে দাঁত ব্রাশ করার সময় এটি গিলে ফেলেন তিনি। ভয়ে বাবা-মাকে বলেননি এবং ভেবেছিলেন ব্রাশটি শরীরেই গলে যাবে।