দলের জয়ের ম্যাচে কিছু কীর্তি গড়েছেন সূর্যকুমার যাদব ও জাসপ্রিত বুমরাহ।মুম্বাই আগে ব্যাটিং করায় কীর্তির শুরুটা করেছেন যথারীতি সূর্যকুমারই। প্রতিপক্ষকে ২১৬ রানের লক্ষ্য দেওয়ার ম্যাচে ফিফটি করেছেন তিনি। তার মতো ফিফটি পেয়েছেন ওপেনার রায়ান রিকেলটনও (৫৮)।২৮ বলে ৫৪ রান খেলার পথেই দারুণ এক কীর্তি গড়েছেন সূর্য।বলের হিসেবে ৪ হাজার রান করা দ্রুততম ভারতীয় তিনি। সবমিলিয়ে আইপিএলের তৃতীয় দ্রুততম। ২৭১৪ বলে ৪ হাজারের ক্লাব স্পর্শ করেছেন। ভারতের হয়ে আগের রেকর্ডটি ছিল সাবেক বাঁহাতি ব্যাটার সুরেশ রায়নার, তার লেগেছিল ২৮৮১ বল।সূর্যর চেয়ে কম বল খেলে ৪ হাজার রান করা দুই ব্যাটার হচ্ছেন ক্রিস গেইল ও এবি ডি ভিলিয়ার্স। দুই কিংবদন্তিই সমান সংখ্যক ২৬৫৮ বল খেলেছেন। অন্যদিকে প্রতিপক্ষকে আটকানোর সময় মুম্বাইয়ের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির রেকর্ড গড়েছেন বুমরাহ।রান তাড়ায় শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে ল। দলীয় ৬৪ রানে ৩ উইকেট হারায়।উইকেট উদযাপনের শুরুটা করেন বুমরাই। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে এইডেন মার্করামকে ব্যক্তিগত ৯ রানে আউট করে। বাকি দুই উইকেট তুলে নিয়ে প্রতিপক্ষকে ধাক্কা দেন ম্যাচসেরা উইল জ্যাকস। ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে দুই বাঁহাতি ব্যাটার নিকোলাস পুরান ও ঋষভ পন্তকে আউট করার আগে ব্যাটিংয়ে ২৯ রান করেন ইংল্যান্ডের ব্যাটার।চতুর্থ উইকেটে ২৯ বলে ৪৬ রানের জুটি গড়ে লক্ষ্ণৌকে ম্যাচে ফেরাচ্ছিলেন মিচেল মার্শ ও আয়ুশ বাদানি। তবে দুজনকে ফিরিয়ে মুম্বাইয়ের জয়ের কাজটা সহজ করে দেন নিউজিল্যান্ডের বাঁহাতি পেসার ট্রেন্ট বোল্ট। আর শেষটা গুঁড়িয়ে দেন বুমরাহ। নিজের তৃতীয় ওভারে ৩ উইকেট তুলে নেন ভারতীয় পেসার। সব মিলিয়ে ম্যাচে ২২ রানে ৪ উইকেট নেন তিনি।এমন দুর্দান্ত বোলিংয়ের রাতে মার্করামকে আউট করার সময়ই লাসিথ মালিঙ্গাকে ছাড়িয়ে যান বুমরাহ। লক্ষ্ণৌর বিপক্ষে মাঠে নামার সময় দুজনেরই উইকেটসংখ্যা ছিল ১৭০। আর ম্যাচ শেষে মুম্বাইয়ের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি বনে যাওয়া বুমরাহর নামের পাশে সংখ্যাটা এখন ১৭৪।