শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরকে দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রাশেদ খান বলেন, ‘জাতীয় পার্টির অফিসে যে হামলা হয়েছে এই ঘটনার সঙ্গে গণ অধিকার পরিষদ জড়িত নয়। শাহবাগে আমরা যারা সংহতি সমাবেশ করেছি তাদের কারো এই ঘটনার সঙ্গে ন্যূনতম সম্পৃক্ততা নেই।সুতরাং ফ্যাসিবাদের দোসর শামীম হায়দার পাটোয়ারী গণ অধিকার পরিষদের কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবি করেছেন। তার এত বড় স্পর্ধা কী করে হয়? পুলিশের সামনে জাতীয় পার্টির কতিপয় নেতারা মিছিল করছে। পুলিশ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ললিপপ খাচ্ছে। এইটা পুলিশের ভূমিকা হতে পারে না।জাতীয় পার্টি আগামীতে কোর রাজনীতি করতে পারবে না, নির্বাচন করতে পারবে না। এটাই আমাদের স্পষ্ট বক্তব্য।’নুরুল হক নুরের শারীরিক অবস্থা নিয়ে তিনি বলেন, ‘এখনো পর্যন্ত নুরের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়নি। নুরের শর্ট টাইম মেমোরি লস হচ্ছে।সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল নুরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো হবে। কিন্তু আমার কাছে মনে হচ্ছে বিষয়টি নিয়ে গড়িমসি করা হচ্ছে। নুরুল হক নুরকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে না নেওয়া হয় সেজন্য একটা মহল সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।’গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘নুর যখন কথা বলতে যাচ্ছেন, তার কথা পুরাপুরি শেষ করতে পারছেন না। আবার অগোছালো কথা বলছেন।তিনি দুই ঘণ্টা আগে ওষুধ খেলেও পরবর্তীতে ভুলে যাচ্ছেন। কথার মধ্যে অনেক সময় ঘুমিয়ে পড়ছেন। তিনি পায়ে ভর দিয়ে দাঁড়াতে পারছেন না। নিজের শরীরের ওপর নিজের ব্যালেন্স নেই। নুরের অবস্থা এখন পর্যন্ত আশঙ্কামুক্ত নয়।’