ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন গতকাল মঙ্গলবার (১৭ জুন) দেশটির নাগরিকদের হোয়াটসঅ্যাপ মুছে ফেলার আহ্বান জানিয়েছে। তাদের দাবি, এই মেসেজিং অ্যাপটি চলমান মধ্যপ্রাচ্য সংঘাতের প্রেক্ষিতে ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করে ইসরায়েলের কাছে সরবরাহ করছে। যদিও এর পক্ষে কোনও নির্দিষ্ট প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়নি।
এই দাবির জবাবে হোয়াটসঅ্যাপের মূল কোম্পানি মেটা এক বিবৃতিতে অভিযোগগুলো দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করেছে।প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, ‘এই অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং আমরা উদ্বিগ্ন যে এগুলো আমাদের পরিষেবাগুলিকে ব্লক করার অজুহাতে রূপ নিতে পারে—ঠিক সেই সময়ে যখন মানুষ সবচেয়ে বেশি যোগাযোগের উপর নির্ভরশীল।’হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে তারা এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন ব্যবহার করে, যা নিশ্চিত করে যে শুধু প্রেরক ও প্রাপক ছাড়া আর কেউই বার্তার বিষয়বস্তু পড়তে পারে না—এমনকি হোয়াটসঅ্যাপও না।বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘আমরা কারো লোকেশন ট্র্যাক করি না, কারা কাকে বার্তা পাঠাচ্ছে তা লগ করি না এবং কোনও সরকারের সঙ্গে ব্যাপকভাবে ব্যবহারকারীর তথ্য শেয়ার করি না।’হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের মূল কোম্পানি মেটা বিগত কয়েক বছর ধরেই ইরানে নিয়ন্ত্রনের মুখে পড়েছে।২০২২ সালে দেশটিতে ‘নীতি পুলিশের’ হেফাজতে এক তরুণীর মৃত্যুর পর ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হলে, সরকার হোয়াটসঅ্যাপ ও গুগল প্লে-সহ একাধিক ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। পরে ২০২৩ সালের শেষদিকে এসব নিষেধাজ্ঞা কিছুটা শিথিল করা হয়। তবে এখনও ইরানে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ বহাল আছে। বহু ব্যবহারকারী প্রক্সি বা ভিপিএন-এর মাধ্যমে এই সীমাবদ্ধতা এড়িয়ে চলেন।ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের পাশাপাশি হোয়াটসঅ্যাপ এখনো দেশটির অন্যতম জনপ্রিয় মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।