চট্টগ্রামের পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ মো. আবদুর রহমান জানিয়েছেন, মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় সারা দেশের মতো চট্টগ্রামেও থেমে থেমে বৃষ্টিপাত হচ্ছে।গত মঙ্গলবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় শহরে ১৫৩.৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে। এ বৃষ্টিপাত আরো এক দিন অব্যাহত থাকতে পারে।চট্টগ্রাম বন্দর সূত্রে জানা যায়, গত ৯ জুলাই বহির্নোঙরে অপেক্ষমাণ ছিল ১০৭টি জাহাজ। এর মধ্যে কনটেইনার জাহাজ ছিল ১৮টি, সাধারণ কার্গো ছিল ৩৭টি, খাদ্যশস্যবাহী জাহাজ ছিল ৯টি, সারবাহী জাহাজ ছিল তিনটি, সিমেন্ট ক্লিংকার নিয়ে অপেক্ষায় রয়েছে ২৬টি জাহাজ, চিনিবোঝাই দুটি, লবণের একটি এবং অয়েল ট্যাংকার ছিল ১১টি।এর মধ্যে ৪৪টি জাহাজ থেকে পণ্য খালাস করা গেলেও আরো ৬৩টি জাহাজ থেকে পণ্য খালাস বন্ধ রয়েছে। বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক নবী আলম বলেন, ‘চার দিন ধরে সাগর খুবই উত্তাল। সাধারণত হালকা বৃষ্টি বা ভাটার সময়েও যে পণ্য খালাস করা সম্ভব হয়, লাইটার জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকায় সেগুলোও এখন আটকে আছে। বলা যায়, বহির্নোঙরে পণ্য খালাস বন্ধ রয়েছে।বর্তমানে বেশির ভাগ লাইটার জাহাজ পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকতের কাছে বা কর্ণফুলী নদীর নির্ধারিত অঞ্চলে নোঙর করা আছে।’চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, ‘সাগর উত্তাল থাকায় বহির্নোঙরে পণ্য খালাস বন্ধ রয়েছে। তবে চট্টগ্রাম বন্দরের মূল জেটিতে কনটেইনার হ্যান্ডলিং ও স্বাভাবিক কার্যক্রম চলছে।’