ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘাত ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। মধ্যরাতে ভারতের হামলায় পাকিস্তানের ২৬ জন নিহত হয়েছে, অপর দিকে পাল্টা জবাবে পাকিস্তানের হামলায় ভারতে ১০ জন নিহত হয়েছে। এই হামলার প্রভাবে ভারতে চলমান আইপিএলও পরতে পারে, এমনকি বন্ধও হতে পারে।
মঙ্গলবার (৬ মে) মধ্যরাতে ভারত ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে পাকিস্তানের ৯টি জায়গায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। পাকিস্তানও এর পাল্টা জবাব দিয়েছে এবং দাবি করেছে যে তারা ভারতের ৫টি যুদ্ধবিমান ভূপতিত করেছে। এই সংঘাতের কারণে পুরো অঞ্চলে অস্থিরতা বিরাজ করছে।এই অস্থিরতার মাঝে উদ্বেগের ছায়া পড়েছে আইপিএলের ওপর। পিএসএল প্রায় শেষের দিকে হলেও, আইপিএলের এখনো অনেকটা পথ বাকি। আর বাকি থাকা ম্যাচগুলোর মধ্যে একাধিক ম্যাচই ভারত সরকার কর্তৃক ঘোষিত ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে অথবা এমন শহরে যেখানে বিমান চলাচলে বিধিনিষেধ জারি আছে, সেখানে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। এতে বিভিন্ন দেশের আইপিএলে অংশ নেওয়া ক্রিকেটারদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।যেসব ম্যাচ নিয়ে বর্তমানে শঙ্কা তৈরি হয়েছে, তাদের মধ্যে চারটি ম্যাচের সূচি এবং স্থান -৯ মে: উত্তরপ্রদেশের লখনৌতে মুখোমুখি হবে লখনৌ সুপার জায়ান্টস এবং ব্যাঙ্গালুরু। এই অঞ্চলে বর্তমানে ‘রেড অ্যালার্ট’ জারি রয়েছে।১১ মে: ধর্মশালায় পাঞ্জাব কিংস খেলবে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে। হিমাচল প্রদেশসহ উত্তর ভারতে বর্তমানে বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, যা এই ম্যাচ নিয়েও উদ্বেগ তৈরি করেছে।১৪ মে: ভারতের রাজধানী দিল্লিতে লখনৌ সুপার জায়ান্টস এবং দিল্লি ক্যাপিটালসের ম্যাচ রয়েছে। রাজধানী হওয়ায় এই ম্যাচের নিরাপত্তা নিয়ে আলাদা সতর্কতা থাকছে।
১৮ মে: এবারের আইপিএলের লিগ পর্বের শেষ ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে লখনৌতে, মুখোমুখি হবে হায়দ্রাবাদ এবং লখনৌ। এই ম্যাচটিও রেড অ্যালার্ট জোনের মধ্যেই পড়ছে।লখনৌ অঞ্চলের দুটি ম্যাচ নিয়েই শঙ্কা সবচেয়ে বেশি। কেননা রেড অ্যালার্ট জারি থাকায় সেখানকার পরিস্থিতি বিশেষ নজরদারিতে রাখা হচ্ছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় কর্তৃপক্ষ পদক্ষেপ নিচ্ছে। উত্তর প্রদেশের ডিরেক্টর জেনারেল অব পুলিশ ইতিমধ্যেই লখনৌর স্টেডিয়ামসহ জনগুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন। এছাড়া, ভারত সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানানো হয়েছে যে, দেশটিতে অবস্থানরত সকল বিদেশি নাগরিকের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে।যদিও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হচ্ছে তবুও ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের জেরে তৈরি হওয়া অস্থিরতা আইপিএলের বাকি অংশ, বিশেষ করে এই ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলের ম্যাচগুলোর সুষ্ঠু আয়োজন নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে।