যশোর জেলা যুবদলের বহিষ্কৃত প্রচার সম্পাদক ইস্কান্দার আলী জনিকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ। শুক্রবার (২৫ জুলাই) রাত ৮টার দিকে রাজধানীর খিলক্ষেতের তালেরটেক থানার দক্ষিণ নামাপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
যশোর সীমান্ত দিয়ে আওয়ামী লীগে সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে পালাতে সহযোগিতা করেছিল জেলা যুবদলের সেক্রেটারি, এমন মন্তব্য করে আলোচনায় এসেছিলেন জনি। তিনি যশোর সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা বাবলাতলা এলাকার মৃত শেখ সিরাজুল ইসলামের ছেলে ও জেলা যুবদলের যুবদলের বহিষ্কৃত প্রচার সম্পাদক।জনির নামে চাঁদাবাজি বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছেন যশোর ডিবির ওসি মনজুরুল হক ভূঁঞা।এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ডিবি পুলিশ জানিয়েছে, জনি জেলা যুবদলের দপ্তর সম্পাদক কামরুল ইসলামের কাছে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এছাড়া জেলা বিএনপির সভাপতিসহ দলের সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের নামে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা ধরণের মিথ্যা অপপ্রচার, কুৎসা, ভীতি প্রদর্শন করে আসছিল। এমনকি, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের যশোর সেনানিবাসে ছিল ও তাকে জেলা যুবদলের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক (এখন সদস্য সচিব) আনসারুল হক ভারতের পালাতে সাহয্য করেছেন বলে মন্তব্য করেন।উদ্দেশ্যমূলকভাবে সেনাবাহিনী ও দেশের মানুষের ভাবমূর্তি ক্ষুন্নের জন্য গুজব ছড়িয়ে দেওয়ার কারণে জনির বিরুদ্ধে যশোর কোতোয়ালী মডেল থানার সাইবার নিরাপত্তা আইনে কয়েকটি মামলা হয়। এরপর থেকে আত্মগোপনে থেকে তিনি দলের শীর্ষনেতাদের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষেদগার করে যাচ্ছিলেন।বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, শুক্রবার রাতে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে যশোর ডিবির ওসি মনজুরুল হক ভূঁইয়ার নেতৃত্বে একটি টিম রাজধানীর খিলক্ষেতের তালেরটেক থানার দক্ষিণ নামাপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে জনিকে গ্রেফতার করে। শনিবার সকালে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।জনি যুবদলের পদ থাকাকালীন দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষেদগার করতেন। দলীয় শৃঙ্খলা লঙ্ঘনের অভিযোগে দল তাকে বহিষ্কার করা হয়।