তবে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেশির ভাগই এটি কাটিয়ে উঠে।কিন্তু আশঙ্কার বিষয়, ১২ বছরের বেশি অনেক শিশু-কিশোরের মধ্যে এই সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হয়ে দেখা দিচ্ছে। যার ফলে এটি পরিবার ও আক্রান্ত ব্যক্তির জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের মধ্যে তোতলানোর প্রবণতা বেশি।সাধারণত ২ থেকে ৬ বছর বয়সে শিশুদের ভাষা শেখার পর্যায়ে সাময়িক তোতলানো দেখা দিতে পারে, যা স্বাভাবিক। কিন্তু যদি এই সমস্যা ছয় মাসের বেশি স্থায়ী হয় অথবা শিশুর মধ্যে আতঙ্ক, লজ্জা বা আত্মবিশ্বাসহীনতা তৈরি করে, সে ক্ষেত্রে দ্রুত একজন স্পিচ অ্যান্ড ল্যাংগুয়েজ থেরাপিস্টের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।তোতলানোকে প্রধানত তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়। প্রথমত, শব্দ আটকে যাওয়া, যেখানে কথা বলার সময় শব্দ আটকে যায় বা বের হয় না। দ্বিতীয়ত, শব্দের পুনরাবৃত্তি, যেখানে কোনো শব্দ বা অক্ষর বারবার উচ্চারিত হয়, যেমন, ‘মা মা মা আমার কাছে আসো।’ তৃতীয়ত, শব্দকে লম্বা করে বলা, যেখানে শব্দ বা অক্ষর অস্বাভাবিকভাবে দীর্ঘায়িত হয়, যেমন, ‘মা—আ—আ—আ আমার কাছে আসো।’এ ছাড়া ডেভেলপমেন্টাল স্টাটারিং, নিউরোজেনিক স্টাটারিং বা সাইকোজেনিক স্টাটারিংয়ের মতো বিভিন্ন ধরনের তোতলানো দেখা দিতে পারে, যার প্রতিটির পেছনে আলাদা কারণ দায়ী।