স্কুল থেকে ফিরে বা বাইরে খেলাধুলা করে এসে হাত ও পা ভালো করে সাবান দিয়ে ধোয় কি না শিশু? অসুস্থ হওয়ার এটি অন্যতম বড় কারণ হতে পারে। পরিবেশ দূষণের ফলে নানা রকম জীবাণুর আক্রমণ করতে পারে আপনার শিশুকে।লোকজনের হাঁচি-কাশি, শ্বাসবায়ুর মাধ্যমেও এসব জীবাণু ছড়িয়ে পড়ছে বাতাসে। তাই সব সময় হাত স্যানিটাইজ করতে হবে ভালো করে। প্রয়োজনে শিশুর কাছে স্যানিটাইজার দিয়ে রাখুন। স্কুলে টিফিন খাওয়ার আগে সেটি দিয়ে কিভাবে হাত পরিষ্কার করতে হবে, তা শিখিয়ে দিন।
‘টয়লেট ট্রেনিং’ বা শৌচাগার ব্যবহারের শিক্ষা নিয়ে অজ্ঞতা বা উদাসীনতা যথেষ্টই রয়েছে।শৌচাগারে গিয়ে নিজেকে পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করার পাশাপাশি কিভাবে তা পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে তা শেখাও জরুরি। অপরিচ্ছন্ন শৌচাগার নানা রোগের আঁতুড়ঘর। সাধারণত গণশৌচাগার ব্যবহারের প্রথম অভিজ্ঞতা হয় স্কুলে। সরকারি, বেসরকারি প্রায় সব স্কুলেই ওয়াশরুমের সংখ্যা ছাত্রছাত্রীদের প্রয়োজনের তুলনায় কম। নিয়মিত পরিষ্কার না করায় দ্রুত নোংরা হয়ে ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে যায় প্রায়শই। আর সেখান থেকে ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন (ইউটিআই) বা মূত্রনালির সংক্রমণ হয়।তাই তাদের শেখাতে হবে, কিভাবে টিস্যু পেপার ব্যবহার করতে হবে, কমোডে বসার আগে টিস্যু পেপার দিয়ে মুছে বসতে হবে। পরিষ্কার থাকলেও টয়লেট সিটে স্যানিটাইজার স্প্রে করে বসা ভালো। টয়লেট ব্যবহারের পরে হাত সাবান দিয়ে ধুতে হবে। স্কুলে সাবানের ব্যবস্থা না থাকলে সঙ্গে সোপ পেপার অবশ্যই রাখতে হবে।
স্কুলে হোক বা বাড়িতে, দীর্ঘ সময় ধরে খুলে রাখা খাবার একেবারেই খাবে না। টিফিন বাক্স সব সময়ে বন্ধ করে রাখতে হবে। মাটিতে পড়ে যাওয়া খাবার তা সে যতই পছন্দের হোক না কেন, কখনোই তুলে খাওয়া ঠিক নয়। শিশুকে কাঁচা সালাদ দিলে সেসব সবজি বা ফল ভালো করে ধুয়ে দিতে হবে। যদি ফল বা দই দেন, তাহলে সেগুলো খাওয়ার সময়ও বলে দিন। খালি পেটে ফল বা দই যেন না খায় শিশু।
মুখ না ঢেকে হাঁচি-কাশি
শিশুরা এই বিষয়ে সচেতন নয়। তাদের শেখাতে হবে, হাঁচি বা কাশি হলে মুখ ঢেকে রাখা দরকার। সঙ্গে সব সময়ে রুমাল রাখতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, শিশু যেন বারবার মুখে বা নাকে হাত না দেয়। এর থেকেও জীবাণু খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
জাঙ্ক ফুড
শিশুকে কোনোভাবেই বাইরের খাবার দেওয়া যাবে না। যতই বায়না ধরুক না কেন, রাস্তা থেকে চিপ্স, আইসক্রিম বা শরবত কিনে খাওয়াবেন না। এর থেকেই ভাইরাস বা ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ দ্রুত ঘটে।
ঠিকমতো পানি না খাওয়া
শিশুকে পর্যাপ্ত পানি খাওয়াতে হবে। শরীরে পানিশূন্যতা হলেই ঠিকমতো প্রস্রাব হবে না, শিশুর মধ্যে আলস্য দেখা দেবে, বমি ভাব থাকবে, জিভ-ঠোঁট-গালের ভেতরের চামড়া শুকিয়ে যাওয়ার মতো লক্ষণ দেখা দেবে।