যাত্রী ও চালকদের প্রতিক্রিয়া
কুষ্টিয়া থেকে ঢাকায় ফিরেছেন আমিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘ঈদের এক দিন আগে গ্রামের বাড়ি গিয়েছিলাম। আজ (শুক্রবার) ফিরে এসেছি। আসার পথে তেমন যানজট ছিল না।’মাদারীপুর থেকে ঢাকায় আসা আসমা খাতুন বলেন, ‘আমার স্কুল শুরু হবে রবিবার। তাই ভিড় ঠেলে ফিরতে হলো। বাসে প্রচণ্ড ভিড় ছিল। ৩০০ টাকার বাসভাড়া ৫০০ টাকা দিতে হয়েছে।’কৃষি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা আমানুর রহমান বলেন, ‘গ্রামে পরিবারের সঙ্গে ঈদ করার আনন্দের তুলনা হয় না। কিন্তু ঢাকায় ফিরতেই হচ্ছে। কাজ তো থেমে থাকে না। বাসে সিট পেতে কষ্ট হয়েছে। ভাড়াও আগের চেয়ে অনেক বেশি।’হানিফ পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার আবদুল আওয়াল বলেন, ‘বাড়িমুখী যাত্রীর সংখ্যা এখন কম। আমাদেরও অল্প যাত্রী নিয়েই বাস ছাড়তে হচ্ছে। তবে ঢাকায় যে বাসগুলো ফিরছে, সেগুলোর কোনোটিই খালি আসছে না।’
ঢাকাও ছাড়ছে অনেকে
গতকাল বাস টার্মিনালগুলোতে ঢাকা ছাড়া যাত্রীরও কিছুটা চাপ দেখা গেছে। বেশির ভাগ বাসেই যাত্রী অর্ধেকের মতো ছিল। কাউন্টার মাস্টাররা বললেন, অনেকে এখনো ঢাকার বাইরে যাচ্ছে, আবার ফিরেও আসছে।গাবতলী বাস টার্মিনালে দেখা গেছে, প্রচুরসংখ্যক লোক ঢাকার বাইরে যাচ্ছে। পরিবহনসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বললেন, ভোরের দিকের বাসগুলোতে যাত্রীসংখ্যা একটু বেশি ছিল। সকাল ১০টার পর থেকে যাত্রীর চাপ কমে যায়।