সাদা বা ফ্যাকাশে খাবার অনেকেই পছন্দ করেন না। বরং রঙিন কেক, পেস্ট্রি, ক্যান্ডি, আইসক্রিম, ঠাণ্ডা পানীয়, রঙিন কাবাব বা মকটেল—এই সব কিছুর আকর্ষণেই আজকাল মানুষ ভিড় করে। নির্মাতারা প্রায়ই দাবি করেন, এসব কৃত্রিম রং নিরাপদ বা প্রাকৃতিক উৎস থেকে তৈরি। তবে চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদরা বারবার সতর্ক করছেন—এই উপাদানগুলোর অতিরিক্ত ও দীর্ঘমেয়াদি গ্রহণ শরীরে নানা জটিল রোগের জন্ম দিতে পারে।
চলুন, জেনে নিই অতিরিক্ত কৃত্রিম রঙের ক্ষতিকর প্রভাব কী কী।
অ্যালার্জি
অনেক কৃত্রিম রং সংবেদনশীল ব্যক্তিদের শরীরে অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া ঘটাতে পারে। অ্যাজমা রোগীদের জন্য এটি বিশেষভাবে ক্ষতিকর। তাই প্যাকেটজাত খাবার কেনার আগে ‘ফুড লেবেল’ দেখে নেওয়া উচিত।
গবেষণায় দেখা গেছে, কিছু কৃত্রিম রং যেমন ‘রেড ৩’ থাইরয়েড টিউমারের ঝুঁকি বাড়ায়। দীর্ঘদিন এসব রঙিন খাবার খেলে ক্যানসারের সম্ভাবনা বাড়ে।
স্বভাবে পরিবর্তন
বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছু কৃত্রিম রং শিশুর স্বভাবেও প্রভাব ফেলতে পারে। যেহেতু শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাদের জন্য এই প্রভাব আরও বিপজ্জনক।
কৃত্রিম রং অনেক সময় বদহজম, গ্যাস বা ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোমের সমস্যাকে বাড়িয়ে তোলে।
কিডনির ক্ষতি
‘রেড ৪০’ ও ‘ইয়েলো ৫’ এর মতো উপাদান দীর্ঘদিন শরীরে প্রবেশ করলে কিডনির কার্যক্ষমতা কমে যেতে পারে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
বাহারি রঙে মোড়ানো খাবার যতই আকর্ষণীয় হোক, অতিরিক্ত গ্রহণ শরীরের জন্য ক্ষতিকর। বিশেষ করে শিশু ও সংবেদনশীল ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এই ধরনের খাবার হতে পারে মারাত্মক ঝুঁকির কারণ। তাই সচেতন হোন, খাবারের রঙ নয়, গুরুত্ব দিন এর পুষ্টিগুণে।
এ ক্যাটাগরির আরো নিউজ..