আয়াতের অর্থ : ‘এবং আমি অবশ্যই ক্ষমাশীল তার প্রতি যে তাওবা করে, ঈমান আনে, সৎ কাজ করে ও সৎপথে অবিচল থাকে।’
(সুরা : ত্বহা, আয়াত : ৮২)
কোরআন থেকে শিক্ষা
১. আল্লাহ তাআলার ক্ষমাযোগ্য হওয়ার জন্য চারটি জিনিস আবশ্যক—(ক) কুফর, শিরক ও পাপাচার থেকে তাওবা করা। (খ) পরিপূর্ণরূপে ঈমান আনা (গ) সৎ কর্ম করা ও (ঘ) সৎপথে অবিচল থাকা। অর্থাৎ আমৃত্যু ঈমান ও ইসলামের দাবি অনুসারে জীবন পরিচালনা করা।
২. ঈমান আনা সত্ত্বেও শিরক বা পাপাচারে মত্ত থাকা অবস্থায় যদি কারো মৃত্যু এসে যায়, তাহলে ক্ষমার পরিবর্তে সে শাস্তির যোগ্য হবে।
৩. আলোচ্য আয়াত থেকে জানা যায়, মহান আল্লাহ তাওবাকারীর তাওবা কবুল করেন। বিষয়টি অন্য আয়াতে আল্লাহ তাআলা এভাবে বলেন, ‘কিন্তু যারা তাওবা করে এবং নিজেদের সংশোধন করে আর সত্যকে সুস্পষ্টভাবে ব্যক্ত করে, এরাই তারা, যাদের তাওবা আমি কবুল করি, আমি অতিশয় তাওবা গ্রহণকারী, পরম দয়ালু।’ (সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ১৬০)
৪. আলোচ্য আয়াত থেকে আরো জানা যায় যে শুধু ঈমান আনা পরকালে চূড়ান্ত দায়মুক্তির জন্য যথেষ্ট নয়; বরং ঈমানের পাশাপাশি নেক আমল করা জরুরি।
৫. অনিয়মিত ইবাদত ও আমল গ্রহণযোগ্য নয়। ঈমান ও আমলের ওপর আমৃত্যু অবিচল থাকা পরকালে মুক্তির অন্যতম শর্ত। অন্য আয়াতে মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘অতঃপর যেভাবে তুমি নির্দেশিত হয়েছ সেভাবে তুমি ও তোমার সঙ্গী যারা তাওবা করেছে, সবাই অবিচল থাকো। আর সীমা লঙ্ঘন কোরো না।
তোমরা যা করছ নিশ্চয় তিনি তার সম্যক দ্রষ্টা।’ (সুরা : হুদ, আয়াত : ১১২)
ভয়েস অব লিডার্স
এ ক্যাটাগরির আরো নিউজ..