গর্ভাবস্থায় হবু মায়েদের খুব সাবধানে চলাফেরা করতে হয়। বিশেষ করে খাওয়াদাওয়া খুব সাবধানে করতে হয় এই সময়ে। অনেক হবু মায়েরা মাছ খুবই পছন্দ করেন। তবে ভুল মাছ খেলে গর্ভপাত পর্যন্ত হতে পারে।
তাই আগেই সাবধান হন। ভুল মাছ খেয়ে নিজের ও অনাগত সন্তানের বিপদ ডেকে আনবেন না। তাই গর্ভাবস্থায় কোন মাছ খাবেন, আর খাবেন না, জেনে নিন।
মাছ খাবেন কি না
প্রেগনেন্সিতে অনেকেই বিভ্রান্তিতে থাকেন, কোন মাছ খাবেন আর কোনটি খাবেন না, তাই নিয়ে।যদি আপনিও গর্ভাবস্থায় মাছ খাওয়া নিয়ে সংশয়ে থাকেন, তবে চিকিৎসকের কাছ থেকে জেনে নিন, এই সময়ে কোন মাছ খাওয়া উচিত আর কোনটি খাওয়া উচিত নয়।বিশেষজ্ঞদের মতে, আপনি গর্ভাবস্থায় মাছ খেতে পারেন কোনো দ্বিধা ছাড়াই। কিন্তু সব ধরনের নয়। আপনাকে নির্দিষ্ট ধরনের কিছু মাছ থেকে দূরে থাকতে হবে।
মাছের পুষ্টি
গর্ভে থাকা শিশুর পরিপূর্ণ বিকাশের জন্য পুষ্টি উপাদান খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রায় সব পুষ্টিই মাছে থাকে। এতে স্যাচুরেটেড ফ্যাট কম আর অন্যান্য প্রোটিন ও ভিটামিনে সমৃদ্ধ। শুধু তাই নয়, মাছে রয়েছে প্রচুর ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি এসিড এবং শিশুবান্ধব খনিজ। যা অন্য কোনো খাবার খেয়ে খুব কমই পাওয়া যায়। তবে এটি পারদ সমৃদ্ধ।তাই সব সময় একটি সংশয় থাকেই যে আদৌ মাছ খাওয়া গর্ভবতী নারীদের জন্য নিরাপদ কি না? এ কারণে অনেক নারী এই সময় মাছ খাওয়া এড়িয়ে যান। আপনারও এমন কিছু মাছ খাওয়া এড়ানো উচিত, যাতে পারদের মাত্রা বেশি থাকে। সামুদ্রিক মাছে এটি বেশি থাকে বলে এসব মাছ খাওয়া উচিত নয়।
কোন মাছ খাবেন না
ইমপোর্ট করা মাগুর মাছ, পাঁকাল মাছ, টুনা, ম্যাকারেল, রাজা ম্যাকেরেল—গর্ভাবস্থায় এই ধরনের মাছ খাওয়া একেবারে উচিত নয়।
কতটা মাছ খাবেন
বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতি সপ্তাহে ২২৬ থেকে ৩৪০ গ্রাম মাছ দুই থেকে তিনবার খাওয়া যেতে পারে। স্তন্যদানকারী মাকেও একই পরিমাণ মাছ খেতে হবে। খুব বেশি মাছ খাওয়া ভ্রূণের বিকাশে মারাত্মক বাধা সৃষ্টি করতে পারে।
এ ক্যাটাগরির আরো নিউজ..