আরশোলার উপস্থিতি অনেক সময় অ্যালার্জি বা হাঁপানির ট্রিগার হিসেবে কাজ করতে পারে। কিভাবে, জেনে নিন—আরশোলার শরীর, লালা, মল ও এদের খোলস বা ডিমের আবরণে এমন কিছু প্রোটিনজাত উপাদান থাকে, যেগুলো অ্যালাজেন হিসেবে কাজ করে। এই অ্যালাজেন বাতাসে মিশে ঘরের ভেতরে ছড়িয়ে পড়ে। এই ধুলো বা অণু-অনুপস্থিত অ্যালার্জেন শ্বাসের মাধ্যমে গ্রহণ করে, তখন তা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে উত্তেজিত করে এবং শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানি সৃষ্টি করতে পারে।গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব ঘরে আরশোলার বসবাস বেশি, সেখানে শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে হাঁপানির প্রকোপ বেশি। নিউইয়র্ক, হিউস্টনের মতো শহরে বহু গবেষণা এই সম্পর্ক নিশ্চিত করেছে যে আরশোলার অ্যালার্জেন শিশুদের ফুসফুসে প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে এবং হাঁপানির লক্ষণগুলোকে আরো জটিল করে তুলতে পারে।আরশোলা এমন স্থান পছন্দ করে, যেখানে খাবার থাকে। যেমন রান্নাঘর, ডাস্টবিন বা অন্ধকার স্যাঁতসেঁতে কোণ।এরা জীবাণু ও অ্যালার্জেন ছড়ায়। এর ফলে ঘরের ধুলা আরো বেশি সংক্রামক হয়ে ওঠে। ধুলার সঙ্গে মিশে থাকা আরশোলার মল বা দেহের কণাগুলো সহজেই ফুসফুসে প্রবেশ করে এবং শ্বাসকষ্টের কারণ হয়।
কাদের বেশি ঝুঁকি