পান্তা ভাত শুধু পহেলা বৈশাখের খাবার নয় বরং সারা বছর এটি খাওয়া যায়। গবেষণায় প্রমাণিত, গরম ভাতের চেয়ে পান্তা অনেক বেশি পুষ্টিকর। বিশেষ করে গরমকালে শরীর ঠাণ্ডা রাখতে এর জুড়ি নেই। ঠাণ্ডা ভাতে শুকনা মরিচ, কাঁচা পেঁয়াজ আর একটু লবণ।সঙ্গে যদি থাকে লেবু, ডাল ভর্তা,তাহলে তো কথাই নেই। পান্তা বানাতে বাসি ভাতে পানি ঢেলে অন্তত ১২ ঘণ্টা ঢাকনা দিয়ে রেখে দিন। তারপর চলুন দেখি তিনটি দারুণ রেসিপি।
চিংড়ি ভর্তা দিয়ে পান্তাউপকরণ:
চিংড়ি মাছ
পেঁয়াজ – ১টা বড়
কাঁচা মরিচ – ৩টি
লবণ – স্বাদমতো
হলুদ – হাফ চা চামচ
সরিষার তেল – ২ টেবিল চামচ
প্রণালী:
১. চিংড়ি মাছ পরিষ্কার করে লবণ ও হলুদ মেখে ১৫ মিনিট রেখে দিন।
২. পেঁয়াজ ও কাঁচা মরিচ কুচিয়ে নিন।
৩. কড়াইয়ে তেল গরম করে মাছ ভেজে নিন।
4. পেঁয়াজ, মরিচ, লবণ দিয়ে মাছ ভর্তার মতো মেখে নিন।
5. ১২ ঘণ্টা ভেজানো পান্তা ভাতের সঙ্গে এই ভর্তা মিশিয়ে পরিবেশন করুন।
ডাল ভর্তা দিয়ে পান্তা
উপকরণ:
মসুর ডাল –হাফ কাপ
পেঁয়াজ – ১টি
শুকনা মরিচ – ২টি
কাঁচা লঙ্কা – ২টি
হলুদ – হাফ চা চামচ
লবণ – স্বাদমতো
সরিষার তেল – ৩ টেবিল চামচ
প্রণালী:
১. ডাল ধুয়ে আধাঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন।
২. কড়াইয়ে এক চামচ তেল গরম করে ডাল নাড়ুন যতক্ষণ না রং বদলায়।
৩. দেড় কাপ পানি ও হলুদ দিয়ে ডাল আধা সিদ্ধ করুন।
৪. অন্য কড়াইয়ে পেঁয়াজ ও শুকনা মরিচ ভেজে নিন।
৫. পেঁয়াজ, মরিচ ও লবণ দিয়ে ডাল মেখে পান্তার সঙ্গে পরিবেশন করুন।
এ ক্যাটাগরির আরো নিউজ..