ব্যক্তিজীবনে সুন্নাত অনুসরণের অনেক গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা রয়েছে, যা একজন মুসলিমের আত্মিক, পারিবারিক, সামাজিক ও আখিরাতের জীবনকে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে। নিচে এর কিছু মূল উপকারিতা তুলে ধরা হলো :
আল্লাহর ভালোবাসা লাভ করা যায় : পবিত্র কোরআনুল কারিমে বলা হয়েছে : “বলুন, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালোবাসো, তবে আমার অনুসরণ করো; তাহলে আল্লাহ তোমাদের ভালোবাসবেন ‘ (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ৩১) এ আয়াতে খুব সুন্দরভাবে বলে দেওয়া হয়েছে যে কোনো ব্যক্তি যদি মহানবী (সা.)-এর সুন্নাতের অনুসরণ করেন, তাহলে স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা তাকে ভালোবাসবেন।
আত্মিক শান্তি ও স্থিরতা : সুন্নাতের অনুসরণ করলে জীবনে একটি নিয়ম-শৃঙ্খলা আসে। যা মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা হ্রাসে সহায়ক হিসেবে প্রমাণিত।কারণ মহানবী (সা.)-এর জীবন এমন এক আদর্শ, যা অনুসরণ করলে একজন ব্যক্তি সঠিক পথ ও নৈতিকতা বজায় রাখতে পারে। যা মানসিক শান্তির অন্যতম কারণ।
পরিবার ও সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা হয় : সুন্নাতের অনুসরণ করে পরিবার পরিচালিত হলে পারস্পরিক সম্মান, দায়িত্ববোধ ও ভালোবাসা বৃদ্ধি পায়। সমাজে অশান্তি ও অনৈতিকতা কমে আসে।জীবনের প্রতিটি দিক যেমন- খাদ্য, ঘুম, ব্যবসা, উপার্জন, ইবাদত, পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আচরণ ইত্যাদি সব ক্ষেত্রে যদি নবী (সা.)-এর সুন্নতকে অনুসরণ করা হয়, তাহলে তা একজন মানুষকে পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে সহায়ক হয়।
আখিরাতে মুক্তির পথ : সুন্নাতের অনুসরণ আখিরাতে মহানবী (সা.)-এর সুপারিশপ্রাপ্তির সুযোগ এনে দেয়। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘আমার সুন্নাতের অনুসরণকারী আমার উম্মতের মধ্যে সবচেয়ে প্রিয়।’ সুন্নাত শুধু দাড়ি রাখা বা পাঞ্জাবি পরার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়।
আপনার সকালবেলা ঘর থেকে বের হওয়ার সময়, অফিসে এসে কাজ শুরু করার সময় বিসমিল্লাহ বলুন। ছোট-বড় যেকোনো প্রাপ্তিতে আলহামদুলিল্লাহ বলুন, সবার সঙ্গে হাসিমুখে কথা বলুন, বাসা, অফিস, বিপণিবিতান- যেখানেই যখন অবস্থান করুন না কেন, অন্যকে সহযোগিতার মানসিকতা লালন করুন। এগুলোই সুন্নত। ব্যক্তিজীবনে এ ধরনের সুন্নাতগুলো অনুসরণ করলে একদিকে যেমন দুনিয়ায় শান্তি ও সম্মান পাওয়া যাবে, তেমনি আখিরাতেও মুক্তি লাভের সম্ভাবনা বেড়ে যাবে বহুগুণ।মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে প্রাত্যহিক জীবনের সর্বত্র মহানবী (সা.)-এর সুন্নাতের অনুসরণ করে দিনাতিপাত করার তাওফিক দান করুন।আমিন।
এ ক্যাটাগরির আরো নিউজ..