শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা (ইমিউনিটি সিস্টেম) দুর্বল হলে বারবার অসুস্থ হয়ে পড়া খুবই স্বাভাবিক। ছোট সংক্রমণ থেকেও বড় সমস্যা তৈরি হতে পারে। তাই শরীরকে সুস্থ রাখতে এবং রোগ প্রতিরোধে সক্ষম করে তুলতে ইমিউনিটি শক্তিশালী রাখা জরুরি। এর জন্য আপনার দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় কয়েকটি পুষ্টিকর খাবার রাখলেই ইমিউনিটি বাড়ানো সম্ভব।
চলুন, জেনে নিই কী কী খাবেন।
গাজর
গাজরে রয়েছে বিটা ক্যারোটিন, যা শরীরে গিয়ে ভিটামিন এ-তে রূপান্তরিত হয়। এই উপাদান আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। গাজর কাঁচা বা সিদ্ধ, যেভাবেই খান, উপকার পাবেন।
হেলদি ফ্যাট যুক্ত মাছ
স্যামন, ম্যাকারেল, সার্ডিন ইত্যাদি মাছ ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ। এগুলো নিয়মিত খেলে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটাই বেড়ে যায়।
আমন্ড
প্রতিদিন অল্প পরিমাণ আমন্ড খেলে শরীরের ইমিউনিটি মজবুত হয়। আমন্ডে রয়েছে ভিটামিন ই ও স্বাস্থ্যকর চর্বি, যা শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি, ব্ল্যাকবেরি ইত্যাদি জামে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই উপাদানগুলি দেহের কোষকে রক্ষা করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
পালংশাক
পালংশাকে রয়েছে ভিটামিন সি, বিটা ক্যারোটিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই সব উপাদান একসঙ্গে কাজ করে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
রসুন
রসুনের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণ রয়েছে।প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক-দুই কোয়া কাঁচা রসুন খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটা বাড়ে।
ভিটামিন সি যুক্ত ফল
লেবু, কমলালেবু, আমলকি, মালটা—এই সব ফল ভিটামিন সি-তে ভরপুর। প্রতিদিন অন্তত একটি করে এই ধরনের ফল খাওয়া জরুরি, কারণ এটি শরীরকে নানা সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ও সুস্থ থাকতে খাবারে একটু সচেতনতা আনলেই অনেক উপকার পাওয়া যায়। ডায়েট, পর্যাপ্ত পানি, ঘুম ও হালকা ব্যায়ামের পাশাপাশি এই পুষ্টিকর খাবারগুলি নিয়মিত খেলে শরীর আরো সুস্থ ও সতেজ থাকবে।
এ ক্যাটাগরির আরো নিউজ..