মানবদেহের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ হচ্ছে যকৃৎ বা লিভার। এটি কেবল রক্তকে শোধন করে না, বরং মেটাবলিজম, হজম ও ডিটক্সিফিকেশনের মতো অনেক প্রয়োজনীয় কাজ করে। তবে বর্তমান সময়ে আমাদের জীবনযাত্রা এবং স্বাদে ভরা খাবারের বিকল্পের কারণে অজান্তেই লিভারের ক্ষতি বয়ে আনছি।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, লিভারের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে খাদ্যাভ্যাস ঠিক রাখা জরুরি।এই সময়ে খাবারতালিকা থেকে কিছু খাবার বাদ দেওয়া উচিত। কী সেসব খাবার, জেনে নিন—
বেশি ভাজা খাবার
শিঙাড়া, পাকোড়া, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই বা চিপস—এসব ভাজা খাবারে ট্রান্স ফ্যাটের পরিমাণ বেশি থাকে। এই খাবারগুলো লিভারকে ফ্যাটযুক্ত করে তোলে। এর ফলে নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজের ঝুঁকি বাড়ে।এই খাবারগুলো লিভারকে ফুলিয়ে তোলে এবং রোগব্যাধির আশঙ্কা বাড়ায়।
রেড মিট
গরু ও খাসির মাংসের মতো লাল মাংসে হাই প্রোটিন থাকে। তবে এগুলো হজম করা লিভারের জন্য কঠিন। বিশেষ করে আগে থেকে লিভারের সমস্যা থাকলে, রেড মিট তার চাপ আরো বাড়িয়ে দিতে পারে।তাই পরিমিত পরিমাণে খাওয়া ভালো।
চিনিযুক্ত পানীয়
কোল্ড ড্রিঙ্কস, প্যাকেট করা জুস বা ফ্লেভারযুক্ত এনার্জি ড্রিঙ্কসে ফ্রুকটোজের পরিমাণ বেশি থাকে। এগুলো লিভারে ফ্যাট জমা করে এবং ধীরে ধীরে সেটিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। প্রতিদিন মিষ্টি পানীয় পান করলে ফ্যাটি লিভার ও ইনসুলিন রেজিস্টেন্সের সমস্যা বেড়ে যায়।
প্রক্রিয়াজাত খাবার
পিৎজা, বার্গার, সসেজ ও ইনস্ট্যান্ট নুডলসের মতো প্রক্রিয়াজাত খাবারে প্রিজারভেটিভ, লবণ ও অস্বাস্থ্যকর ফ্যাটের আধিক্য থাকে।এগুলো লিভারের স্বাভাবিক কার্যকারিতায় বাধা দেয় এবং লিভারের ক্ষতির কারণ হতে পারে।
অ্যালকোহল
নিয়মিত অ্যালকোহল সেবন করলে লিভারের কোষগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যদিও সামান্য পরিমাণে হয়। অতিরিক্ত অ্যালকোহল পানে লিভার সিরোসিসের মতো গুরুতর রোগ হতে পারে। তাই অ্যালকোহল বাদ দেওয়া খুবই জরুরি।
অতিরিক্ত লবণ
লবণ প্রয়োজনীয়, তবে বেশি পরিমাণে খেলে তা লিভারে পানি জমা করে এবং ফোলাভাব সৃষ্টি করে। জাঙ্ক ফুড, নোনতা খাবার ও প্রক্রিয়াজাত খাবারে আগে থেকেই প্রচুর লবণ থাকে, যা ধীরে ধীরে লিভারের ক্ষতি করে।
এ ক্যাটাগরির আরো নিউজ..