শিশুর সঙ্গে অন্য কোনো বাচ্চার তুলনা করবেন না।তাতে শিশুর মন খারাপ হতে পারে। সবাই একরকম নয়। প্রত্যেকের নিজস্ব কিছু বৈশিষ্ট্য আছে। তাই আপনার সন্তানের যেটুকু ক্ষমতা, তাকে সেটা নিয়েই এগিয়ে যেতে দিন।পরীক্ষার ফল নিয়ে বকাঝকা না করাই ভালো। বরং তাকে বোঝানোর চেষ্টা করুন। তাতেই দেখবেন শিশু অনেক ভালো করছে।
সন্তানের প্রতি মা-বাবার নানা রকম আশা থাকে। পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করা থেকে সাঁতার-খেলাধুলা-আঁকা বাকিদের থেকে এগিয়ে যেতে হবে, সন্তানকে কেন্দ্র করে এমন নানা আশা করেন অভিভাবকরা।আর অজান্তেই ক্রমশ প্রত্যাশার পূরণের চাপ পড়তে থাকে শিশুমনে। শৈশবে এত বাড়তি চাপ দেবেন না সন্তানকে। তাকে তার মতো বড় হতে দিন। সময় হলে ঠিকই নিজের ভালোমন্দ বুঝতে শিখবে।
শিশুর সঙ্গে সময় কাটানো খুব জরুরি। তা না হলে তার মনে কী চলছে, সেসবের কিছুই বুঝবেন না। মা-বাবাকে শিশুর প্রথম বন্ধু হয়ে উঠতে হবে। সম্পর্কের সমীকরণ যেন এমন না হয় যে শিশু আপনাদের কিছু বলার আগে দুই বার ভাবে। ব্যস্ততা থাকবেই, তবে দিনের কিছুটা সময় শিশুকেও দিন। তাতে সন্তানের সঙ্গে আপনাদের সম্পর্কও মজবুত হবে।