বাড়ির রং শুধু সাজসজ্জার বিষয়ই নয়, এর সঙ্গে যোগ রয়েছে গৃহস্থের ভালো-মন্দও। গৃহসজ্জা বিশেষজ্ঞ ও মনস্তত্ববিদদের মতে, রঙের সঙ্গে মানুষের মনের শান্তির যোগ রয়েছে। তাই ঘরে নির্দিষ্ট রং ব্যবহার করা উচিত। কোন ঘরে কী রং ব্যবহার করবেন, তা জানুন আজকের প্রতিবেদনে।
বসার ঘর : বসার ঘরে সাধারণত মানুষ আরাম আয়েশ করেন। সেই সঙ্গে এই ঘরটি অতিথি আপ্যায়ন এবং পরিবারের একত্রিত হওয়ার জায়গা। হালকা বা নিউট্রাল শেড (যেমন অফ-হোয়াইট, হালকা ধূসর, বেইজ) করলে ঘরকে বড় ও খোলামেলা দেখায়। উষ্ণ রং (যেমন হালকা হলুদ, পীচ) বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করেএকটি দেওয়ালে গাঢ় অ্যাকসেন্ট রং (যেমন নেভি ব্লু, গাঢ় সবুজ) নাটকীয়তা আনতে পারে।
শোওয়ার ঘর : শান্ত ও স্নিগ্ধ রং (যেমন নীল, সবুজ, ল্যাভেন্ডার, হালকা গোলাপি) শয়নকক্ষের জন্য ভালো। এই ধরনের রং মনকে শান্ত করে। পাশাপাশি মাটির রং (যেমন ব্রাউন, বেইজ) আরামদায়ক অনুভূতি দেয়।শয়ন কক্ষে খুব উজ্জ্বল রং এড়িয়ে চলুন।
খাবার ঘর : উষ্ণ ও আকর্ষণীয় রং (যেমন লাল, কমলা, টেরাকোটা) ক্ষুধা বাড়াতে ও সামাজিকতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে বলে মনে করেন অন্দরসজ্জা শিল্পীরা। মার্জিতভাব আনতে গাঢ় নীল বা সবুজ ব্যবহার করা যেতে পারে।
রান্নাঘর : রান্নাঘরে উজ্জ্বল ও পরিষ্কার রং (যেমন সাদা, হালকা হলুদ, হালকা নীল) সতেজতা ও পরিচ্ছন্নতার অনুভূতি দেয়। হালকা কমলা বা পীচ উষ্ণতা যোগ করতে পারে।ছোট রান্নাঘরে গাঢ় রং এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। গাঢ় রঙে ছোট ঘরকে আরো ছোট দেখায়।
পড়ার ঘর বা অফিস : মনে করা হয় সবুজ, নীল ইত্যাদি রং মনোযোগ বৃদ্ধি করে। সৃজনশীলতা বাড়াতে পরিমিত হলুদ বা কমলা ব্যবহার করা যেতে পারে। অফিসে ধূসর বা বেইজ রং ব্যবহার করতে পারেন। এই রংগুলো পেশাদার পরিবেশ তৈরি করে।
এ ক্যাটাগরির আরো নিউজ..