عَنْ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ قَالَ أَمَرَنَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِسَبْعٍ وَنَهَانَا عَنْ سَبْعٍ أَمَرَنَا بِاتِّبَاعِ الْجَنَائِزِ وَعِيَادَةِ الْمَرِيضِ وَإِجَابَةِ الدَّاعِي وَنَصْرِ الْمَظْلُومِ وَإِبْرَارِ الْقَسَمِ وَرَدِّ السَّلاَمِ وَتَشْمِيتِ الْعَاطِسِ وَنَهَانَا عَنْ آنِيَةِ الْفِضَّةِ وَخَاتَمِ الذَّهَبِ وَالْحَرِيرِ وَالدِّيبَاجِ وَالْقَسِّيِّ وَالإِسْتَبْرَقِ
অনুবাদ
বারাআ ইবনে আযিব (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাতটি বিষয়ে আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন এবং সাতটি বিষয়ে আমাদের নিষেধ করেছেন। তিনি আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন-
১. জানাজার অনুগমন করতে,
২. রুগ্ন ব্যক্তির খোঁজ-খবর নিতে,
৩. দাওয়াত দাতার দাওয়াত গ্রহণ করতে,
৪. মাজলুমকে সাহায্য করতে,
৫. কসম হতে দায়মুক্ত করতে,
৬. সালামের জবাব দিতে এবং
৭. হাঁচিদাতাকে (ইয়ারহামুকাল্লাহু বলে) সন্তুষ্ট করতে।
-(বুখারি, হাদিস : ১২৩৯)
হাদিসটিতে দুটি দিক তুলে ধরা হয়েছে—
(ক) করণীয় সাতটি কাজ: এগুলো মূলত মুসলমানদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব, সামাজিক দায়বদ্ধতা ও মানবিক সহানুভূতি দৃঢ় করার বিষয়। যেমন—রোগীর খোঁজখবর নেওয়া, সালামের জবাব দেওয়া, হাঁচিদাতাকে দোয়া করা—এসব ছোট ছোট আমল সমাজকে পরস্পরের নিকটবর্তী করে এবং হৃদয়ের মধ্যে ভালোবাসা সৃষ্টি করে। একইভাবে জানাযায় অংশগ্রহণ, দাওয়াত গ্রহণ, মাজলুমকে সাহায্য করা সমাজকে একত্রিত করে রাখে।আর কসমের প্রতি সম্মান প্রদর্শন মানুষের পারস্পরিক আস্থা ও বিশ্বাসকে দৃঢ় করে।
হাদিস থেকে আমাদের শিক্ষা
১. সামাজিক দায়িত্ব পালন ঈমানের অঙ্গ – মুসলমানরা একে অপরের জন্য দোয়া, খোঁজখবর ও সাহায্যে এগিয়ে যাবে।
২. মৃত্যুর স্মরণ ও আখিরাতের প্রস্তুতি – জানাযায় অংশগ্রহণ মৃত্যুর কথা স্মরণ করায়, যা ঈমানকে দৃঢ় করে।