৪. নিয়ত পরিশুদ্ধ করা : হজযাত্রী হজের মাধ্যমে কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনেরই নিয়ত করবে।সুখ্যাতি ও অহমিকার আকাঙ্ক্ষা অন্তর থেকে দূর করে দেবে।
৬. হালাল অর্থ সংগ্রহ করা : হজের যাবতীয় খরচ সংশয়মুক্ত হালাল অর্থ থেকে ব্যয় করা আবশ্যক। নতুবা হজ কবুলের আশা করা যায় না। হজযাত্রীর সংগৃহীত অর্থে কোনো সংশয় থাকলে তা পরিহার করবে। প্রয়োজনে ঋণ করে যাবে।
৭. সাথিদের সেবার নিয়ত করা : হজযাত্রার সময় সহযাত্রীদের সেবা করা হজ কবুলে সহায়ক হয়। তাই সম্ভব হলে প্রয়োজনের অতিরিক্ত কিছু অর্থ ও রসদ নেবে, যা সহযাত্রীদের সেবায় ব্যয় করবে। এ ছাড়া কাফেলার দুর্বল, বৃদ্ধ ও অসহায় ব্যক্তিদের যেকোনো প্রকার সেবার নিয়ত করবে।
৮. জ্ঞানগত প্রস্তুতি গ্রহণ : হজে যাওয়ার আগে হজযাত্রীরা হজের বিধি-বিধানগুলো খুব ভালোভাবে জেনে নেবে এবং আত্মস্থ করবে। অভিজ্ঞ হাজিদের কাছ থেকে বিধানগুলোর প্রায়োগিক রূপ জেনে নেবে। হজের বিধি-বিধান বিষয়ক নির্ভরযোগ্য বই-পুস্তক সঙ্গে রাখবে।
৯. সুন্নতি উপকরণগুলো সঙ্গে রাখা : ইবাদত কবুলের অন্যতম শর্ত সুন্নতের ওপর আমল করা। তাই হজের সফরে যাওয়ার আগে সুন্নতি উপকরণগুলো সঙ্গে রাখা উত্তম। যেমন মিসওয়াক, টিস্যু পেপার, সুরমা, জায়নামাজ ইত্যাদি।
১০. কাফেলাবদ্ধ হওয়া : হাদিসে দূরের সফর একা একা করতে নিষেধ করা হয়েছে। তাই হজের সফর একাকী করবে না, বরং কাফেলাবদ্ধ হবে। এ ক্ষেত্রে আলেম, আল্লাহভীরু, দ্বিনদার ও পরিচিত ব্যক্তিদের প্রাধান্য দেওয়া। ফাসেক, দ্বিনবিমুখ ও ইবাদতে উদাসীন ব্যক্তিদের উপেক্ষা করা। তবে এমন ব্যক্তি কাফেলায় থাকলে সে অপমানিত হয় বা মনে কষ্ট পায় এমন রূঢ় আচরণ পরিহার করাও জরুরি।
উর্দু পুস্তিকা ‘আদাবে সফর ওয়া মুকাদ্দাতে হজ’ অবলম্বনে