২০ মে (আজ) তাঁদের মক্কার উদ্দেশে দেশত্যাগের কথা। তাঁরা আচেহর তৃতীয় হজ কাফেলার সঙ্গে যাত্রা করবেন। আগে দুইবার ওমরাহ করলেও এটাই তাঁদের প্রথম হজ। শতবর্ষী এই দম্পতি তাঁদের দ্বিতীয় ওমরাহর সময় হজ করার সিদ্ধান্ত নেন।২০১৯ সালে তাঁরা হজের জন্য নিবন্ধন করেন। এত দ্রুত হজ করার সুযোগ পাবেন বলে তাঁরা আশা করেননি।এ বছর দাহলানই আচেহর সবচেয়ে বয়স্ক হজযাত্রী। সম্প্রতি স্বাস্থ্য পরীক্ষায় তাঁকে হজযাত্রার উপযুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।তিনি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলেন, ‘চিকিৎসক বলেছেন আমার কোনো সমস্যা নেই। আমি ঠিক আছি।’ দাহলান একজন কর্মক্ষম ব্যক্তি। তিনি নিয়মিত তাঁর কফির খামারে কাজ করেন। তিনি ও তাঁর স্ত্রী এই হজের যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন।উভয়েই হজের প্রতিটি প্রশিক্ষণে এবং স্বাস্থ্যসেবামূলক কর্মশালা ‘ওয়েলনেস প্রগ্রামে’ অংশ নিয়েছেন। তাঁরা জানান, শারীরিক ও মানসিকভাবে তাঁরা প্রস্তুত।আচেহ হজ অফিসের প্রধান আজহারি বলেন, ‘এ বছর আচেহর জন্য নির্ধারিত হজযাত্রীর কোটা চার হাজার ৩৭৮ জন। তাঁদের মধ্যে ২১৯ জন প্রবীণকে হজ করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে আমরা পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে অপেক্ষমাণ ব্যক্তিদের অগ্রাধিকার দিয়েছি। মুহাম্মদ দাহলান এ বছর হজের সুযোগ কাজে না লাগালে তাঁকে ২০৪৪ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতো। আমরা নির্দিষ্টসংখ্যক বয়স্ক হজযাত্রী নির্বাচন করি। কেননা তাঁদের জন্য বিশেষ সুযোগ-সুবিধা ও প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হয়।’তিনি আরো জানান, মুহাম্মদ দাহলান ও দাহনিয়ারের হজযাত্রা প্রমাণ করে, হজের জন্য বয়স কোনো বাধা নয়। তাঁদের এই সফর আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ এ জন্য যে তাঁরা হজের যাবতীয় খরচ সংগ্রহ করেছেন তাঁদের কফি খামারের আয় থেকে। বেশ কয়েক বছর পরিশ্রমের পর তাঁরা তা সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছেন।