أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ “ مَنْ أَحَبَّ أَنْ يُبْسَطَ لَهُ فِي رِزْقِهِ، وَيُنْسَأَ لَهُ فِي أَثَرِهِ، فَلْيَصِلْ رَحِمَهُ ”
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি তার জীবিকার প্রশস্ততা চায় ও দীর্ঘায়ু কামনা করে, সে যেন তার আত্মীয়দের সঙ্গে সদাচরণ করে।
-(বুখারি, হাদিস : ৫৯৮৬; মুসলিম, হাদিস : ২৫৫৭)
সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা
আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা (সিলাতুর রাহিম) :
সিলাতুর রাহিম বা আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা ইসলামে ফরজ। আত্মীয়-স্বজনের সাথে ভালো ব্যবহার, আর্থিক সাহায্য, খোঁজখবর নেওয়া, সম্পর্ক ছিন্ন না করা—এসবই এর অন্তর্ভুক্ত।
জীবিকার প্রশস্ততা :
মহান আল্লাহ্ তাআলা প্রতিটি বান্দার রিজিক নির্ধারণ করেছেন।তবে আত্মীয়তার হক আদায় করলে আল্লাহ্ তাঁর ওপর বিশেষ বরকত নাজিল করেন। ফলে রিজিক শুধু বৃদ্ধি নয়, বরং বরকতময় হয়ে ওঠে। কখনো কম সম্পদও পর্যাপ্ত হয়ে যায়, আবার কখনো অপ্রত্যাশিতভাবে রিজিক বাড়তে থাকে।
এখানে দীর্ঘায়ুর অর্থ নিয়ে আলেমরা দুটি ব্যাখ্যা দিয়েছেন— (১) বাস্তবিক আয়ু বৃদ্ধি : আল্লাহ চাইলে তাঁর তাকদির অনুযায়ী কারো আয়ু লম্বা করে দেন।
আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা কেন রিজিক ও আয়ুর সঙ্গে সম্পর্কিত?
আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করলে পরিবার ও সমাজে ঐক্য থাকে, দোয়া পাওয়া যায়, সহযোগিতা তৈরি হয়—যা জীবিকার প্রসারে সহায়ক।
এই হাদিস আমাদের শিক্ষা দেয়—
আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করা শুধু সামাজিক দায়িত্ব নয়, বরং এটি জীবিকার বরকত ও আখেরাতের মুক্তির অন্যতম উপায়।
যারা দীর্ঘ কল্যাণকর জীবন ও রিজিকে প্রশস্ততা চায়, তাদের অবশ্যই আত্মীয়দের সঙ্গে সদাচরণ করতে হবে।