” قَالَ اللهُ تَعَالَى إِنِّي فَرَضْتُ عَلَى أُمَّتِكَ خَمْسَ صَلَوَاتٍ وَعَهِدْتُ عِنْدِي عَهْدًا أَنَّهُ مَنْ جَاءَ يُحَافِظُ عَلَيْهِنَّ لِوَقْتِهِنَّ أَدْخَلْتُهُ الْجَنَّةَ وَمَنْ لَمْ يُحَافِظْ عَلَيْهِنَّ فَلَا عَهْدَ لَهُ عِنْدِي ” .
‘মহান আল্লাহ বলেন, আমি তোমার উম্মাতের ওপর পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ফরজ করেছি। আর আমি আমার পক্ষ হতে এ মর্মে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে, যে ব্যক্তি নির্ধারিত সময়ে এসব সালাতের হিফাজত করবে তাকে আমি জান্নাতে প্রবেশ করাব। আর যে ব্যক্তি এর হিফাজত করবে না তার জন্য আমার পক্ষ হতে কোনো প্রতিশ্রুতি নেই।
নামাজ শুধু শরীরের কিছু অঙ্গভঙ্গি বা ঠোঁটের নড়াচড়া নয়; বরং এটি হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথন, বান্দার আত্মাকে পরিশুদ্ধ করার একটি দৈনিক কর্মসূচি, যা জীবনকে সুশৃঙ্খল করে, হৃদয়কে আলোকিত করে এবং সমাজকে শান্তি ও শৃঙ্খলার আবরণে ঢেকে রাখে। উপর্যুক্ত হাদিসটি আল্লাহর পক্ষ থেকে রাসুলুল্লাহ (সা.) কর্তৃক একটি কঠিনতর ঘোষণা। যেখানে তিনটি বিষয় পরিষ্কার বলে দেওয়া হয়েছে-
১. সঠিক সময়ে নামাজের হেফাজত করতে বলা হয়েছে।
২. যারা সঠিক সময়ে নামাজের হেফাজত করবে তাদের জন্য জান্নাতের ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
এ হাদিস আল্লাহর পক্ষ থেকে সরাসরি ঘোষণা করছে যে, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ মুসলিম জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ।