রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়ায়
গুড়ের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে। তাই রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এই প্রাকৃতিক সুইটনার। এটি অ্যানিমিয়া প্রতিরোধে সহায়তা করে এবং শরীরে শক্তির মাত্রা বৃদ্ধি করে।
হজমে সাহায্য করে
গুড় হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
প্রাকৃতিক ইমিউনিটি বুস্টার
গুড়ে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, জিঙ্ক, সেলেনিয়াম ও আয়রন। এর গুণেই শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। ফলে শরীর নানা সংক্রমণ এবং মৌসুমি অসুখকে দূরে রাখতে পারে। বিশেষ করে সর্দি-কাশি প্রতিহত করতে সিদ্ধহস্ত গুড়।
এদিকে গুড়ে রয়েছে ফেনল ও ফেনলিক এসিডের মতো অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এই উপাদান ফ্রি ব়্যাডিকেলের ক্ষতি আটকে দিয়ে হৃদরোগ ও ক্যান্সারের মতো কঠোর ব্যাধির ঝুঁকি কমাতে পারে।
লিভার ও রক্তের জন্য প্রাকৃতিক ডিটক্সিফায়ার
শরীরের জন্য ক্লিনজার হিসেবে কাজ করে গুড়। এই সুইটনার লিভার পরিষ্কার করে শরীর থেকে টক্সিন দূর করে। সঙ্গে রক্ত পরিষ্কার করে গুড়। শরীরের সামগ্রিক মেটাবলিজম ঠিক রাখে।
এনার্জি মেলে ভরপুর
গুড় হলো জটিল কার্বোহাইড্রেট। তাই এটি ডায়েটে থাকলে ধীরে ধীরে এনার্জি রিলিজ হয়। ফলে দীর্ঘক্ষণ চনমনে থাকেন আপনি। এমনকি রক্তে চট করে শর্করার মাত্রাও বাড়ে না। তাই রিফাইনড সুইটনারের থেকে এটি অনেক ভালো।
মেনস্ট্রুয়াল সমস্যা দূর হয়
গুড়ে রয়েছে আয়রন ও মুড চাঙ্গা করার মতো উপাদান। তাই পিরিয়ডের সময়ের ক্র্যাম্প ও ক্লান্তি দূর হয় মুখে গুড় পড়লেই। এমনকি ঘন ঘন মুড সুইংও বাগে থাকে। এন্ডরফিন রিলিজ করে মুড চাঙ্গা এবং পেশি শিথিল করতে সাহায্য করে গুড়।
শ্বাসকষ্টের উপশম
গুড়ের অ্যান্টি-অ্যালার্জিক ও এক্সপেক্টোব়্যান্ট ধর্ম ফুসফুস পরিষ্কার রাখতে সাহায্য় করে। প্রাচীনকালে গলার খুসখুস ভাব এবং কাশি কমানোর জন্য গুড়ের ব্যবহার করা হতো। বিশেষ করে, শীতে গলা ব্যথা ও কাশি কমাতে এটি খুবই উপকারী। এমনকি ব্রঙ্কাইটিস বা অ্যাস্থমার লক্ষণ বশে রাখতে গুড় ব্যবহার করা যেতেই পারে।
হার্টের জন্য উপকারী
গুড়ের মধ্যে ম্যাগনেসিয়াম থাকে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং রক্ত সঞ্চালন ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
ওজন কমাতে
যদিও গুড় মিষ্টি, তবুও এটি স্বাভাবিক চিনির তুলনায় অনেক স্বাস্থ্যকর। গুড় শরীরের মেটাবলিজম বাড়ায়। সঙ্গে ক্রেভিংসও বাগে রাখে এই প্রাকৃতিক সুইটনার। তাই অল্প পরিমাণে গুড় খেলে ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকে।