আধুনিক জীবনে হাই কোলেস্টেরল যেন নিত্যসঙ্গী হয়ে উঠেছে। অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত শরীরচর্চার অভাব, অতিরিক্ত ফ্যাট ও ভাজাপোড়া খাওয়া—সব মিলিয়ে আজকাল কম বয়সেই কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে যেসব নারী পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোমে ভুগছেন, তাদের মধ্যেও এই সমস্যা খুব স্বাভাবিক হয়ে উঠছে। তবে এই বাড়তি কোলেস্টেরল মোটেও নিরীহ নয়।
সময়মতো নিয়ন্ত্রণে না আনলে হৃদরোগের ঝুঁকি বহুগুণ বেড়ে যায়। শুধু ওষুধ নয়, কোলেস্টেরল কমাতে দৈনন্দিন খাদ্যতালিকাই হতে পারে সবচেয়ে বড় অস্ত্র। চলুন, জেনে নিই এমন ৫টি খাবারের কথা, যা নিয়মিত খেলে সহজেই কমবে খারাপ কোলেস্টেরলেলের মাত্রা এবং বাড়বে ভালো কোলেস্টেরল।
মেথিদানা
দ্রবণীয় ফাইবারে ভরপুর মেথি শরীর থেকে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল বের করে দিতে সাহায্য করে।এটি কোলেস্টেরলের শোষণও কমায়। মেথি রক্তে শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে মেথি ভেজানো পানি খাওয়া উপকারী।
নারিকেল ও নারিকেল তেল
অল্প পরিমাণে কাঁচা নারিকেল বা নারিকেল তেল শরীরের জন্য ভালো।এতে থাকা উপাদান ভালো কোলেস্টেরল বাড়াতে এবং খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। তবে পরিমিত খাওয়া জরুরি।
ঢেঁড়স
ফাইবার সমৃদ্ধ এই সবজি কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে খুবই কার্যকর। ঢেঁড়স রোজের ডায়েটে রাখলে হজম ও হৃদরোগ প্রতিরোধেও উপকার মেলে।
আপেল
‘প্রতিদিন একটি আপেল ডাক্তারকে দূরে রাখে’—এই কথার বৈজ্ঞানিক ভিত্তিও আছে।আপেলে থাকা পেকটিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট লিভারের কার্যকারিতা বাড়ায় এবং শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়।
রসুন
প্রতিদিন অন্তত এক কোয়া কাঁচা রসুন খেলে উচ্চ কোলেস্টেরল ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। রান্নাতেও রসুন ব্যবহার করতে পারেন।
শুধু ওষুধ নয়, কোলেস্টেরল কমাতে প্রতিদিনের খাবারই সবচেয়ে কার্যকরী অস্ত্র হতে পারে। তবে খাদ্যাভ্যাসের পাশাপাশি পরিমিত ব্যায়াম, পর্যাপ্ত ঘুম এবং মানসিক চাপমুক্ত জীবনধারা বজায় রাখাও সমান গুরুত্বপূর্ণ।
এ ক্যাটাগরির আরো নিউজ..