মনে রাখতে হবে, এ কাজ থেকে বারণ করার ভেতর আলেমদের কোনো স্বার্থ নেই; বরং তাদের উদ্দেশ্য শুধু চাই সাধারণ মানুষ শরিয়তের বিধি-বিধান জানুক, বুঝুক এবং মেনে চলুক। হক্কানি আলেম চেনার একটি উপায় হলো ফতোয়া প্রদান ও মাসআলা বলার সময় তাঁরা কাউকে সন্তুষ্ট করার চেষ্টা করেন না।
একদিন আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত এক ব্যক্তি আমার কাছে এসে একটি সূক্ষ্ম মাসআলা জিজ্ঞাসা করলে আমি বললাম, আপনি এই মাসআলা বুঝতে পারবেন না। আমার উত্তর তাঁর খুবই অপছন্দ হলো। তিনি বললেন, আমি কেন বুঝতে পারব না? আমি বললাম, এটা বোঝার জন্য যে কতগুলো প্রাথমিক বিষয়ের জ্ঞান থাকা আবশ্যক আপনি তা লাভ করেননি। আর প্রাথমিক জ্ঞান লাভ না করে উচ্চতর জ্ঞানার্জন করা দুরূহ।
আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিতদের ধর্মীয় জ্ঞান সমৃদ্ধ করার পদ্ধতি হলো : ১. আলেমদের পরামর্শক্রমে নিজের জন্য একটি পাঠক্রম তৈরি করে নেওয়া এবং আলেমদের তত্ত্বাবধানে তা পাঠ করা, ২. নিয়মিত আলেমদের সংস্পর্শে যাতায়াত করা, ৩. ঈমান ও চরিত্র বিধ্বংসী বই পরিহার করা এবং আল্লাহভীরু দ্বিনদার আলেমদের বই-পুস্তক পড়া। মনে রাখতে হবে, একজন মুমিন সন্তানের জন্য দ্বিনি শিক্ষাকেই প্রাধান্য দেবে। অর্থাৎ সে সন্তানকে দ্বিন শেখাবে, দ্বিনি প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা গ্রহণের জন্য পাঠাবে। পাশাপাশি প্রয়োজনীয় জাগতিক শিক্ষার ব্যবস্থাও করবে। আমি যে পরামর্শ দিয়েছে, তা সেসব মানুষের জন্য, যারা দ্বিনকে দুনিয়ার ওপর অগ্রাধিকার দিতে পারেনি। তাদের সন্তানরাও যেন দ্বিনি শিক্ষা থেকে বঞ্চিত না হয় সে জন্য আমার পরামর্শ।
মাওয়ায়িজে আশরাফিয়া থেকে মো. আবদুল মজিদ মোল্লার ভাষান্তর